ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

বর্ষা না শরৎ- কোন ঋতু সত্যিকারের সৌন্দর্যের প্রতীক?

মোঃ শাহীন আলম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ০০:২১, ৫ জুলাই ২০২৫

বর্ষা না শরৎ- কোন ঋতু সত্যিকারের সৌন্দর্যের প্রতীক?

বাংলাদেশের ঋতুচক্রে প্রতিটি ঋতুই যেন নিজস্ব রঙে, গন্ধে, সৌন্দর্যে অনন্য। তবে বারবার আলোচনায় আসে দুটি ঋতুর নাম- বর্ষা এবং শরৎ। প্রশ্ন ওঠে: কোন ঋতু বেশি প্রিয়? কে কাকে ছাপিয়ে যায় রূপে, সৌন্দর্যে, আবেগে?

গ্রীষ্মের দাবদাহ শেষে যখন আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়, আর টুপটাপ বৃষ্টি নেমে আসে, তখনই আসে বর্ষা। এ সময় প্রকৃতি পায় নতুন প্রাণ, গাছপালা ভরে ওঠে সবুজে। গ্রামের পুকুর, মাঠ, নদী যেন ফিরে পায় জীবনের স্পন্দন। তরুণ হৃদয়ে জন্ম নেয় কবিতা- “এমন দিনে তারে বলা যায়, এমন ঘনঘোর বরিষায়।”

তবে বর্ষা শুধুই রোমান্টিক নয়। শহরে নেমে আসে জলাবদ্ধতা, যানজট, দুর্ভোগ। তবুও বৃষ্টির ছন্দে কেউ খুঁজে পান প্রশান্তি, কেউবা খোঁজেন হারিয়ে যাওয়া কোনো ভালোবাসা।

বর্ষার শেষে যখন আকাশ একদম পরিষ্কার হয়ে যায়, তখনই আসে শরৎ। কাশফুলের শুভ্রতা, নীল আকাশ আর উড়ন্ত সাদা মেঘ যেন হৃদয় ছুঁয়ে যায়। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে শরতের হাওয়া গায়ে মেখে কবির কলম চলে আপন গতিতে।

এ ঋতু মানেই উৎসবের আমেজ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার আগমন ঘটে শরতে। শহর-গ্রাম সবখানেই তৈরি হয় এক অনন্য আবহ।

একজন সাহিত্যপ্রেমীর চোখে বর্ষা রোমাঞ্চকর; বৃষ্টির ধারা যেন চিন্তাকে গভীর করে তোলে। আর প্রকৃতিপ্রেমীর দৃষ্টিতে শরৎ শুদ্ধতা ও প্রশান্তির প্রতীক।

তবে শেষ কথা সেরা কে, তা ঠিক করে দেয় দর্শকের মন। কারও কাছে বর্ষা বৃষ্টির ভালোবাসা, কারও কাছে শরৎ আশার শুভ্রতা।

আপনার হৃদয় কি খুঁজে ফেরে এক মেঘলা দুপুরের শান্তি, নাকি কাশবনের পাশে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া শরতের মুক্ত বাতাস? ঋতুর সৌন্দর্য চিরন্তন, তবে পছন্দ আপনার একান্ত নিজস্ব।

মিমিয়া

×