ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের নতুন আইন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই ফাঁসি

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ৪ জুলাই ২০২৫

ইরানের নতুন আইন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই ফাঁসি

ছবি: সংগৃহীত।

ইরান কর্তৃপক্ষ ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শত্রু দেশের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক আইন গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার ইরানের সংসদে পাশ হওয়া এই নতুন আইনে শত্রু দেশের সঙ্গে যে কোনও ধরনের সহযোগিতাকে ‘মৃত্যুদণ্ড’সহ দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা বা তাদের সঙ্গে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করাকে সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হবে। বিশেষ করে ইসরায়েলকে উল্লেখ করে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের সহায়তা করবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

অপরদিকে, মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিং’ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। স্টারলিংসহ অনুমোদনবিহীন ইন্টারনেট সেবা সরঞ্জাম কেনাবেচা ও মজুত করা ‘গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব অপরাধে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং দশটির বেশি নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ উৎপাদন বা আমদানি করলে পাঁচ থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

আইনে আরও বলা হয়েছে, যদি কেউ সামরিক ড্রোন নির্মাণ করে সাইবার হামলা চালায় অথবা শত্রুদের জন্য ইরানি অবকাঠামোয় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি নাশকতার প্রচেষ্টা চালানো ব্যক্তিকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।

এছাড়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার বা বিভক্তি সৃষ্টিকারী কন্টেন্ট তৈরি করে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করলে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বিদেশী গণমাধ্যমকে যদি কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠানো হয় যা ইরানি জনগণের সম্মানহানি করে, সেক্ষেত্রে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।

নুসরাত

×