ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

সতর্ক হওয়ার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে কি?

খাদেমুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১০:১৩, ২ জুলাই ২০২৫

সতর্ক হওয়ার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে কি?

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে ৯০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ইউজার। আমার অনুমান এটা। শতকরা হারটা বেশি বই কম হবেনা। নেট তথা স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করছে যারা তারা বুঝতে পারছে না, এক ভয়ংকর বিপর্যয় আসছে চলেছে।এটা সভ্যতার বিপর্যয় কিংবা মানুষের মানবিক স্বত্তার বিপর্যয়। আর এই বিপর্যয় ঘটাবে Ai এবং ChatGPT জাতীয় অ্যাপস বা টুলস। 

মহানবীর (সা.) এঁর হাদিসে বর্ণিত আছে দাজ্জালের আগমনের আগে এক মহাফিতনা, মহাবিভ্রান্তির যুগ আসবে যা হবে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় কিন্তু ধোঁয়াশা। বর্তমান পরিস্থিতিতে বলা যায় সে সময় এসে গেছে।

Ai কি করছেনা এই টুলস!
ভয়েজ কে লেখায় রূপ দিচ্ছে, ছবি ও ভিডিও বানিয়ে দিচ্ছে। দারুন মজার ব্যাপার হিসেবে উপভোগ করছে সবাই। কিন্তু বুঝতে পারছেনা ধীরে ধীরে কিভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।এক সময় আর ব্যাক্তির চিন্তা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার আর কোন অবকাশ থাকবেনা। তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে তোমার হাতে থাকা ডিভাইস। 

প্রযুক্তিবিদদের যে বার্তা ভয়াবহ আশংকার-
""সুপার ইন্টেলিজেন্স – এক ‘নতুন প্রজাতি’ যার কাছে আমরা শুধু একটি টার্গেট, Superintelligence এমন এক সত্তা হবে, যেটা মানুষের চেয়ে ট্রিলিয়ন গুণ বেশি বুদ্ধিমান। সে মুহূর্তে পৃথিবীর প্রতিটি ক্যামেরা, প্রতিটি পোস্ট, প্রতিটি ইচ্ছা স্ক্যান করতে পারবে। সে যদি চায়, একদিনেই নতুন ধর্ম, নতুন চিকিৎসা, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা, এমনকি নতুন সভ্যতা দাঁড় করাতে পারবে।""

তাহলে মানুষ হিসেবে আমাদের আর কি করনীয় থাকবে?
এই Ai কেবল টেকনোলজি নয়, একটি টুল নয়। এটি হয়ে উঠছে মানব স্বত্তার নিয়ন্ত্রক। আমাদের প্রজন্মকে কি এই ভয়াবহ ফাঁদ থেকে ফেরানো সম্ভব! মনে হয় তো না। আমি খুব আশাবাদী হতে পারছিনা। হাতের ডিভাইসে শিক্ষা সংক্রান্ত বা প্রয়োজনীয় টুলস ছাড়া যাবতীয় অ্যাপস যদি রিমুভ করা বাধ্যতামূলক করা না যায় তাহলে আমাদের প্রজন্ম খুব শীগগিরই এই যন্ত্র প্রভুর দাসে পরিনত হবে।যা হবে মানবজাতির জন্য ভয়াবহ।

লেখক: খাদেমুল ইসলাম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, বাগাতিপাড়া, নাটোর

নোভা

×