
সংগৃহীত
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় আপনি হয়ত লাইটটা বন্ধ করে দেন এক চাপেই। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, সেই আলোটা জ্বলে উঠতে কতগুলো দেশের, কতগুলো প্রতিষ্ঠানের আর কত মানুষের হিসাব মেলে?
এই আলো জ্বালিয়ে রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের ঘাড়ে জমে উঠেছিল একটি বড় আন্তর্জাতিক পাওনা। ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে নেওয়া বিদ্যুতের বিল বাকি ছিল কোটি কোটি টাকা।
এ নিয়ে সমালোচনা, প্রশ্ন আর দুশ্চিন্তা ছিল অনেক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিশোধ করেছে আদানির সব বকেয়া। আজ এই খবর শুধু একটা অর্থনৈতিক হিসাব না—এটা একটা বিশ্বাসের বার্তা।
২০২৩ সালে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয় ঝাড়খণ্ডের আদানি পাওয়ার গোড্ডা প্রকল্প থেকে। চুক্তি অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কথা যত সহজে বলা যায়, অর্থ ছাড় করা ততটাই জটিল।
বিল সময়মতো না দেওয়ায় কিছুদিন ধরে আদানির কাছে বকেয়া জমে যাচ্ছিল। গুঞ্জন ছিল—বকেয়া না মেটালে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন হতে পারে।একটি ছোট জেলার যুবক থেকে শুরু করে শহরের ব্যবসায়ী—সবাই ভাবছিল, আবার কি লোডশেডিং বাড়বে?
সরকার বলছে: বকেয়া নেই, আলো বন্ধ হবে নাসম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় ও পিডিবি সম্মিলিতভাবে জানিয়েছে—জুলাই মাসের শুরুতেই আদানির সব পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী বকেয়া এখন আর নেই। আগামীতে যাতে সময়মতো পরিশোধ হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।” এটা হয়ত হেডলাইনে উঠবে না, কিন্তু এর মানে অনেক বড়। আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলা মানে শুধু ভালো সম্পর্ক নয়, দেশের ভাবমূর্তি বজায় রাখা।
এই খবরে কেন আপনার আগ্রহ থাকা উচিত?
- আপনি যদি বিদ্যুৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন—এই খবর আপনার জন্য স্বস্তির
- আপনি যদি চান বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বস্ত অংশীদার হোক—এই খবর আপনার জন্য গর্বের
আপনি যদি ভাবেন আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো কতটা চাপ নিতে পারে—এই খবর একটা ইঙ্গিতআমরা যখন লোডশেডিং নিয়ে বিরক্ত হই, তখন ভুলে যাই—পেছনে থাকে অনেক বড় আন্তর্জাতিক হিসাব। আজকের দিনটা সেই দিক থেকে একটা ইতিবাচক খবর।
আলো জ্বলছে, কারণ দেশের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করা হয়েছে। এই যে ‘বকেয়া নেই’—এটা শুধু এক আরেকের মধ্যে টাকা পরিশোধ নয়,এটা এক দেশের তরফ থেকে বিশ্বকে বলা:"আমরা দায় নিচ্ছি। আমরাও বড় হওয়ার পথে আছি।"
হ্যাপী