
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
পিরোজপুরের কাউখালীতে নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছে দুই উপজেলার চারটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের নুরু মীরার বাড়ির সামনের জোলাগাতি খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপার করছে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা।
এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর উভয়পারে রয়েছে তিনটি বাজার, দুইটি মাদ্রাসা, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন এই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলার চারটি গ্রামের শত শত মানুষ পারাপার হয়। এতে ছোটখাটো প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা এই সাঁকো পার হতে না পেরে অনেক দূর ঘুরে যেতে হয় তাদের গন্তব্য স্থানে।
মিরাজ মীরসহ একাধিক স্থানীয়রা জানান, এই সাঁকোটি ৫০-৬০ বছর আগে এলাকাবাসী তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নির্মাণ করেছেন। এতোদিনেও এখানে সরকারিভাবে নির্মাণ হয়নি একটি সেতু।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সাথী আক্তার ও ফাতিমা আক্তার জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার হয়ে মাদ্রাসায় যাই। এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ প্রয়োজন।
শিক্ষার্থী অভিভাবক হাফেজ মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, এলাকার অভিভাবকরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন। এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপার হওয়ার সময় তাদের ছেলেমেয়েরা কোন দুর্ঘটনার শিকার হয় কি -না। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই খালের উপরে একটি সেতু করা হোক।
এ ব্যাপারে শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান জানান, সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। কিন্তু এতবড় সাঁকো মেরামত অথবা সেতু নির্মাণ করার মতো বাজেট ইউনিয়ন পরিষদে নেই।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা বলেন, এত বড় বাঁশের সাঁকো সরকারি বরাদ্দ ছাড়া নির্মাণ বা মেরামত করা সম্ভব না। তবে সরকারিভাবে বরাদ্দ পেলে একটি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
নোভা