
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে হত্যা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মবের লাগাতার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে, তারই প্রতিবাদে শনিবার (১২ জুলাই) যশোর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রতিবাদী মানববন্ধন।
এ কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় সাধারণ ছাত্র, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, পেশাজীবী ও সচেতন নাগরিক সমাজ। প্রতীকী ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে প্রেসক্লাব চত্বর।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জ পর্যন্ত দেশের নানা প্রান্তে প্রতিনিয়ত খুন, গুম ও গণপিটুনির মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। বিশেষভাবে আলোচিত হয় সম্প্রতি মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা। তাদের অভিযোগ, এসব ঘটনার পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক প্রভাবই মূল কারণ। দোষীরা বিচার ও শাস্তির বাইরে থেকে যাওয়ায় অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “যদি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে মানুষ একসময় আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। এখনই সময় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।”
বক্তারা আরও বলেন, “গুজব বা ছোটখাটো ঘটনার জেরে যেভাবে মানুষকে গণপিটুনির শিকার হতে হচ্ছে, তা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক সহিংসতা সমাজে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।”
তারা সতর্ক করেন, যদি দেশে সুশাসনের অভাব চলতে থাকে, তবে এরকম অরাজকতা আরও বাড়বে। মানববন্ধনের অন্যতম আয়োজক বলেন, “আমরা এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। আমরা চাই বিচার—যে বিচার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করবে।”
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তারা বলেন, “একটি মানবিক, নিরাপদ এবং আইনসম্মত রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে এখনই প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন।
ফারুক