ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিট বাণিজ্য

প্রকাশিত: ১৮:১৮, ১১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:৩৬, ১১ জুলাই ২০২৫

কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিট বাণিজ্য

বর্তমান সময়ে ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কিন্ডারগার্টেন স্কুল। যার সঠিক সরকারি হিসাব না পাওয়া গেলেও আনুমানিক কয়েক হাজার স্কুল রয়েছে বলে ধারণা করা যায়। যেখানে অনেক প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের জন্য যথাযথ দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক না থাকলেও দিনের পর দিন দেদার চলছে স্কুল। যেখানে মেলে না মানসম্মত শিক্ষা অথচ চলে শিট বাণিজ্য। সাধারণত পাঠদানের অন্যতম উপকরণ হওয়া উচিত এনসিটিবি কর্তৃক প্রেরিত সরকারি পাঠ্যবই। কিন্তু সেখানে এর পরিবর্তে দেখা যায় সহজলভ্য শিট মাধ্যম। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান থেকে এবং ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে ব্রয়লার মুরগি তথাকথিত পঙ্গু প্রজন্ম হিসেবে। অন্যদিকে প্রতি সেমিস্টারে একাধিক বিষয়ের শিট এবং নোট বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

এ যেন বাইরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাটের মতো অবস্থা! পাঠ্যবই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান, জানার প্রয়োজনীয়তা, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের অপর্যাপ্ততা, অভিভাবকদের মধ্যে যথাযথ সচেতনতার অভাব এর মূল কারণ। উক্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনতিবিলম্বে যত্রতত্র মানহীন এবং চারাগাছের মতো গজিয়ে ওঠা প্রতিষ্ঠামগুলোকে বন্ধ করে সঠিক প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে শিক্ষকদের অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই পড়ার যথাযথ গুরুত্ব উপলব্ধি করার প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যবই পড়ায় অভ্যস্ত করে তোলার পাশাপাশি অভিভাবকদের আরও সচেতন করে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারকে দৃশ্যমান ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে করে সুশিক্ষিত ও পাঠ্য বইয়ের সঠিক জ্ঞান লাভের মাধ্যমে একটি মেধাবী প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে। 


জান্নাতুল মুশরাত জেবিন 
ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

প্যানেল/মো.

×