
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৮৫ জনেরও বেশি রোগী। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর ও পেটের রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর পাশাপাশি ধীরে ধীরে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে আর জায়গা নেই। বারান্দা, করিডোর এমনকি অপারেশন থিয়েটারের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলোতেও রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে চাদর, বালিশ এনে বারান্দায় অবস্থান করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আগের দিন ভর্তি ছিল ৭৫ জন রোগী। এরই মধ্যে আরও ১০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন দুপুর পর্যন্ত। তবে নিচে অপেক্ষমাণ রোগীর সংখ্যা আরও বেশি। মহিলা ওয়ার্ডে কোনও বেড না থাকায়, অনেকে চাদর পেতে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ছোট ভাকলা এলাকার শরিফা বেগম জ্বর ও পেটব্যথা নিয়ে ভর্তি হলেও বেড পাননি। স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা চলছে। রেহেনা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন দুই দিন ধরে। আরেকজন অভিভাবক জমসের জানান, তার মেয়েকে ভর্তি করিয়ে অপারেশন থিয়েটারের সামনের ফাঁকা জায়গায় স্থান পেয়েছেন। তিনি বলেন, “ডাক্তাররাও ছিল, সকালে আবার আসছে। এতো রোগীর চাপেও তারা চেষ্টা করছে।”
হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, “এখানে ছয়জন ডাক্তার দিয়ে ৮৫ জনের বেশি রোগী সামলানো কঠিন হলেও আমরা চেষ্টা করছি। ডায়রিয়া, জ্বর, পেট ব্যথা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।” তিনি বলেন, “সকলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, খাবার-দাবারে সতর্ক হতে হবে এবং বাসি-পচা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।”
স্থানীয়ভাবে রোগী বাড়ার কারণ হিসেবে গরম, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। তবে রোগীর চাপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে।
আফরোজা