
ছবিঃ সংগৃহীত
নাগেশ্বরীতে চলমান হস্ত ও বস্ত্র কুটির শিল্প মেলা বন্ধে ৪৮ ঘণ্টার চূড়ান্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন কুড়িগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জি. এম. এন. আনসার আলী রয়েল।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে নাগেশ্বরী কলেজ মোড়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন—
“ঠেলাগাড়ি চালানো মানুষ, রিকশাওয়ালারা—তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য দু'টি কলম কিনতেই লাগে ১০ টাকা, অথচ এই মেলায় ঢুকতেই লাগে ২০ টাকা! এ কোন বৈষম্য? এ বৈষম্য আমরা মানব না, মানতেও দেব না।”
তিনি আরও বলেন—
“নাগেশ্বরীতে কোথাও কোনো ইউনিয়নে হস্ত ও বস্ত্র শিল্পের কারখানা নেই। তাহলে কীসের কুটির শিল্প মেলা? এটা আসলে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আখড়া। আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে মেলা বন্ধ না হলে আগামী মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কলেজ মোড়ে জমায়েত হব। প্রয়োজনে জীবন দেব, কিন্তু এই মেলা চলতে দেব না।”
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগেশ্বরী উপজেলা শাখা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব নাগেশ্বরীর সামনে এসে শেষ হয় সমাবেশ।
মাওলানা রয়েল তার বক্তব্যে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন—
“চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হাতে সোহাগ নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। আজ শুধু মেলার বিরুদ্ধেই নয়, বিচারহীনতার বিরুদ্ধেও আমরা রাজপথে।”
আরও বক্তব্য রাখেন—
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।
রাজনৈতিক দলগুলোকেও তুলোধুনো রয়েলের
বক্তৃতার একপর্যায়ে মাওলানা রয়েল বলেন—
“আওয়ামী লীগ–বিএনপি ভাই ভাই। এরা দেশের ক্ষতি ছাড়া কিছুই করেনি। আমরা এই দুই দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। জনগণ এখন জেগে উঠেছে—অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
মারিয়া