ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

কলাপাড়ায় এসএসসি দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় ২৮১৮ পরীক্ষার্থীর ফেল করেছে ৯৮৯ জন

কারণ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক?

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০০:৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫

কারণ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক?

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৩৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অংশ নেওয়া মোট ১৭৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১১৪৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৭ জন। আর ফেল করেছে ৬২০ জন। একইভাবে ২৭টি মাদ্রাসা থেকে ৭৯৩ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৪৯৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ জন। ফেল করেছে ২৯৭ জন। এছাড়া একটি আলাদা ও সংযুক্ত সাতটি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৮৫ জন। ফেল করেছে ৭২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ জন।

এভাবে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় মোট ২৮১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮২৯ জন। ফেল করেছে ৯৮৯ জন। ফলাফল নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর অভিভাবকগণ নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বরিশাল বিভাগে এ বছর এসএসসিতে পাশের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ ভাগ। সেক্ষেত্রে কলাপাড়ায় ৩৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গড় পাশের হার ৬৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে ১০ টি বিদ্যালয়ের পাশের হার বোর্ডের পাশের চেয়ে অনেক নিচে। 
এর মধ্যে সবচেয়ে বেহাল দশা নতুনপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। এখানে ১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ২ জন। একইভাবে তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১৪ জন। লোন্দা হাফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১২ জন। মধ্য টিয়াখালী একেএইচএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২২ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ৬ জন। তবে শতভাগ পাশ করেছে পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিদ্যালয় থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে।

দাখিল পরীক্ষায় এবছর বোর্ডের পাশের হার ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। কিন্তু কলাপাড়ার সামগ্রিক ফলাফল পাশের হার ৬২ দশমিক ৫৫ ভাগ। এর মধ্যে ফলাফল বেশি খারাপ করেছে চাকামইয়া নেওয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ২৫ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র পাঁচ জন। একই অবস্থা বানাতিপাড়া দাখিল মাদ্রাসায়, ১৪ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র তিন জন এবং পূর্ব মধুখালী ছালেহিয়া মাদ্রাসার ৩২ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ৮ জন।

তবে শতভাগ পাশ করেছে দুটি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ইউসুফপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ২৩ জন এবং মুসল্লীয়াবাদ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ২৮ জনের সকলেই পাশ করেছে। ভোকেশনাল পরীক্ষায় বাংলাদেশ চায়না টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাশ করেছে। শুধু তাই নয় স্বতন্ত্র একমাত্র টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান থেকে নয় জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সামগ্রিক ফলাফল বিবেচনায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বছর কলাপাড়ায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। 

রাজু

×