ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

চেয়ারের মজা যদি নিতে হয়, চেয়ারের দায়িত্বও নিতে হবে: রুমিন ফারহানা

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ১৩ জুলাই ২০২৫

চেয়ারের মজা যদি নিতে হয়, চেয়ারের দায়িত্বও নিতে হবে: রুমিন ফারহানা

ছবি: সংগৃহীত

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি-বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষ সামান্য নিরাপত্তা চায়, খুব বেশি কিছু চায় না। কিন্তু গত ৯ মাসে আমরা দেখেছি বাংলাদেশে একটি নতুন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে—‘মবোক্রেসি’। যেখানে ২০-৩০ জন মিলে একজন মানুষের ওপর হামলে পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, “এই হামলার পেছনে ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক এমনকি আর্থিক দ্বন্দ্বও থাকতে পারে। রিপোর্ট বলছে, অনেকক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে মানুষ ভাড়া করে হামলা চালানো হচ্ছে। এটা একটি ভয়ংকর প্রবণতা।”

এছাড়াও তিনি বলেন, "সোহাগের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, আমি যদি প্রশ্ন করি ১০০ মিটারের মধ্যে আনসার ক্যাম্প তারা কী করল? আমি যদি প্রশ্ন করি, পুলিশ কী করল? আমি যদি প্রশ্ন করি, ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল? দে হ্যাভ টু আনসার ইট।"

সরকারের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “চেয়ারে বসে থাকা সহজ, কিন্তু চেয়ারের দায়িত্ব নিতে না পারলে সেই মজা নেওয়ার অধিকারও নেই। চেয়ারের মজা যদি নিতে হয়, চেয়ারের দায়িত্বও নিতে হবে। এক উপদেষ্টার ব্যাগে বন্ধুকের ম্যাগাজিন পাওয়া যায়, অথচ তিনি বলেন—বাংলাদেশে কেউ মিসাইল নিয়েও ঘুরলেও নিরাপদ নয়! এটা কেমন নিরাপত্তা?”

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, "যেটুক ঐকমত্য হয়েছে সেটুকুই যথেষ্টের বেশি। বাকি ব্যাপার ১৮ কোটি মানুষ, যারা এই দেশে জন্মেছে, এই দেশেই থাকবে, এই দেশেই তারা মরবে তাদের হাতে ছেড়ে দেন।"

এ বক্তব্যে তিনি দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, বিচারহীনতা এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

Mily

×