ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “প্রতিটি পরিবারে এক-আধজন কুলাঙ্গার থাকেই। কেউ সাধু, কেউ দুষ্কৃতিকারীর মতো আচরণ করে। এটিই বাস্তবতা।”
তিনি বলেন, “একটি পরিবারেও দেখা যায়, এক ভাই অত্যন্ত সজ্জন, সাধু সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করেন, আরেক ভাই অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত। এটি সমাজের বাস্তব চিত্র। এমনকি ইংরেজ লেখকরাও বলেছেন, ‘Every family has a black sheep’ — প্রতিটি পরিবারেই একটি কুলাঙ্গার থাকে।”
তবে রিজভী জোর দিয়ে বলেন, “কেউ যদি অন্যায় করে, সেটি মুখ্য নয়; বিচার্য বিষয় হলো, দল তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কিনা। শেখ হাসিনার দলে অপরাধীরা বারবার রক্ষা পেয়েছে, অথচ বিএনপিতে কেউ ছাড় পায়নি। এটি বিএনপির এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের অন্যতম বড় কৃতিত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “এই কারণেই আমরা গর্বিত, অনুপ্রাণিত। যারা আলোকিত মানুষ, যারা ভদ্রলোক, যারা সমাজে সম্মানিত – তারাই বিএনপিতে আসছেন, বিএনপির রাজনীতি করছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই পথটাই তৈরি করে গিয়েছিলেন।”
জিয়াউর রহমানের শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “যাদের বয়স এখন অনেক, তারা আজও বলেন, ‘তার আমলে দরজা খুলে ঘুমানো যেত।’ কারণ ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত দেশ ছিল ভয়ের রাজত্বে। আমার এক যাসদ নেতা বলেছেন, প্রেসক্লাব থেকে মিছিল করার পর রক্ষীবাহিনী দুজনকে ধরে নিয়ে যায় – তারা আর ফিরে আসেনি।”
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান সে ভীতিকর সময়ের অবসান ঘটান। গ্রাম-গঞ্জে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে গঠন করেন গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। তার শাসনেই দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।”
রিজভী দাবি করেন, “জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন এবং তা টিকে ছিল। সেই ধারার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া কখনো আপোষ করেননি। আজ সেই পতাকা বহন করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।”
আসিফ
