
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সরকারি মহল থেকে মাঝেমধ্যে আশ্বাসের বাণী শোনা যায়, বাস্তব তথ্য-উপাত্ত ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর গবেষণা প্রতিবেদনে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তাতে দেশে ভোক্তা ব্যয়ে চরম সংকোচন ও অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গত কয়েক বছরে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ, বিনিময় হারের অস্থিরতা, বেসরকারি বিনিয়োগে ভাটা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা মিলে একটি জটিল সংকটের জন্ম দিয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ক্রমাবনতি ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধীরগতি। অর্থনৈতিক সূচক ও তাত্ত্বিক কাঠামোর বিশ্লেষণ বলছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মন্দার একাধিক লক্ষণ প্রদর্শন করছে, যদিও কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ এখনো একটি ‘বৃদ্ধিমূলক মন্দা’ পর্যায়ে রয়েছে, অর্থাৎ পূর্ণমাত্রার সংকোচনে না হলেও খুব কাছেই আছে। প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ (বিশ্বব্যাংক) বা ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশে (সরকারি হিসাব অনুযায়ী) নেমে এসেছে- যা সংকটপূর্ব ৬-৭ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম এবং একটি উচ্চ জনসংখ্যার অর্থনীতির জন্য প্রায় স্থবিরতার পর্যায়ে। পরপর দুই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হ্রাস (২০২৩-২৪ ও ২৪-২৫ যথাক্রমে ৪ দশমিক ২ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ) পাওয়া ‘বৃদ্ধি মন্দা’র সংজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে প্রবৃদ্ধি অর্থনৈতিক সক্ষমতার তুলনায় অনেক নিচে অবস্থান করে এবং এর ফলে মাথাপিছু আয় স্থবির বা নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সর্বাগ্রে শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে জরুরি ভিত্তিতে সতর্ক ও সচেতন হয়ে সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে এবং সংকট উত্তরণে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। যে দেশে দশকের পর দশক ধরে রাজনীতিবিদ-আমলারা অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে এডিপি বা উন্নয়ন বাজেটের ৪০-৫০ শতাংশই আত্মসাৎ করে ফেলছে, সে দেশে সবার সতর্ক প্রচেষ্টা ছাড়া মন্দার ঝুঁকি থেকে উত্তরণ অসম্ভব।
অর্থনীতি বিজ্ঞানের ‘বৃদ্ধিমূলক মন্দা’ ধারণাটিকে মন্দার ঝুঁকি, মন্দার দ্বারপ্রান্ত, মন্দার আশঙ্কা কিংবা অর্থনৈতিক ধসের পূর্বাভাস- যা-ই বলি, সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে ২০২৪ সালের নভেম্বরে অর্থনীতির শিক্ষক দেশের পরিকল্পনা উপদেষ্টা একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা উল্লেখ করে বলেছিলেন, বেসরকারি বিনিয়োগের অভাব এবং সরকারি উন্নয়ন খাতের স্থবিরতা দেশকে মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তার এই মন্তব্যের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মন্দার আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করলেও, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন পরিকল্পনা উপদেষ্টার বক্তব্যের দিকেই ইঙ্গিত করছিল। ঐতিহাসিকভাবেই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নিজস্ব পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। মুডি’স ইনভেস্টর্স সার্ভিস বাংলাদেশের ঋণমান অবনমিত করে ‘বি ২’-এ নামিয়ে আউটলুক ‘নেগেটিভ’ ঘোষণা করেছে। তাদের মতে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই মূল্যায়নগুলো আসলে ছিল অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থারই প্রতিফলনচিত্র। এর পরের ছয় মাসের চিত্র বলছে, ভোক্তা ব্যয় সংকোচনের মূল চালক একন দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, যা অর্থনৈতিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। ২০২৫ সালের মে মাসেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে অবস্থান করছে, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও উদ্বেগজনক ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি সরাসরি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তিন বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে, সঞ্চয় ভেঙে খরচ করতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ ভোগ চাহিদা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভোক্তারা এখন বাধ্য হয়েই ব্যয় সংকোচনের পথ বেছে নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় পণ্যেও তারা কম দামি ব্র্যান্ড, ছোট প্যাকেট বা নিম্নমানের বিকল্প বেছে নিচ্ছেন। ক্রেতারা বড় প্যাকেটের বদলে ছোট প্যাকেট, দাম আগের মতো কিন্তু পরিমাণ কম এবং একটি কিনলে একটি ফ্রি কেনার প্রবণতা বেশি দেখাচ্ছেন- যা অর্থনৈতিক কষ্টের স্পষ্ট ইঙ্গিত। ভোক্তা ব্যয় সংকোচনের এই প্রবণতা অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই ধস নামিয়ে এনেছে। খুচরা বাণিজ্যে গত কয়েক বছরের তুলনায় ভয়াবহ মন্দা চলছে, যা রাজধানীর প্রধান বাজারগুলোয় ক্রেতাসাধারণের উল্লেখযোগ্য হারে কম উপস্থিতিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে পোশাক, গৃহস্থালি সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস এবং ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) খাতে বিক্রি মারাত্মকভাবে কমে গেছে। ঈদের মতো বড় উৎসবেও বাজারে কাক্সিক্ষত জোয়ার দেখা যায়নি। রোজার ঈদে পোশাক বিক্রি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা কম ছিল। কোরবানির পশুর বাজারেও ধস ছিল, বছর তুলনায় পশু বিক্রি প্রায় ১৫ লাখ কম। ফলে খামারিদের ব্যাপক লোকসান। নির্মাণ খাতও এখন গভীর সংকটে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও চাহিদা কমে যাওয়ায় রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে হ্রাস করেছে। ফার্নিচার শিল্পে বিক্রি প্রায় ৫০ শতাংশ কম, অনেক কারখানা কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতেও চলছে চরম মন্দা। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা এবং মানুষের বিনোদন খাতে ব্যয় কমানোর প্রবণতায় অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে, বেঁচে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রিও ৩০ শতাংশ কমেছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বাজারে চাহিদা প্রায় ৪০ শতাংশ কম।
ভোক্তা ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্থবিরতার আরেকটি মুখ্য কারণ হলো বেসরকারি বিনিয়োগে ধস। গত এক দশক ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশে আটকে আছে এবং ২০১৯ সাল থেকে তা ধারাবাহিকভাবে কমছে। শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। বিনিয়োগের এই স্থবিরতার পেছনে একাধিক গভীর কাঠামোগত কারণ কাজ করছে। উচ্চ প্রকৃত সুদের হার (নামমাত্র সুদ হারের চেয়ে মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি হওয়ায় প্রকৃত ঋণের বোঝা বেড়েছে), অবকাঠামোগত ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ ও আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং সর্বোপরি দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে। বিনিয়োগের প্রধান অন্তরায় হিসেবে দুর্নীতি শীর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জরিপ অনুযায়ী বিচার বিভাগ দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত। ভেবে দেখুন, অন্য খাতের কী অবস্থা। দেশের ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাত বা প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়। ২০০৯ সাল থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সরকারি সেবার জন্য আনুমানিক ১.৪৬ লাখ কোটি টাকা ঘুষ প্রদান করা হয়েছে। এমন দেশে বিদেশিদের বিনিয়োগের কী ‘ঠেকা’ পড়েছে? এসব ছাড়াও রয়েছে পদে পদে নানা জটিলতা- দুর্বল নীতিনির্ধারণ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও ধীরগতির বিচারব্যবস্থা এবং স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবেশের প্রচণ্ড অভাব।
বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক মন্দার প্রবল ঝুঁকিতে আছে, তা নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাতের গভীর সংকটেও স্পষ্ট। খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ২৪.১৩ শতাংশ, যা সামনে আরও বাড়বে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি নীতির কারণে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট তীব্র হয়েছে, যা নতুন ঋণ প্রবাহে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা প্রকট ঋণসংকটে ভুগছেন। রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও টাকার অবমূল্যায়ন (গত দুই বছরে ডলারের বিপরীতে প্রায় ৪০ শতাংশ) এবং আমদানি ব্যয় মেটানোই রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে মুখ্য ভূমিকা রাখেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, এই রিজার্ভ বৃদ্ধি হঠাৎ অস্থিরতা সামাল দিতে সহায়ক হলেও অর্থনীতির মৌলিক দুর্বলতা বিশেষ করে রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং টেকসই এফডিআই আকর্ষণে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থা স্থিতিশীলতা আনতে পারলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর জন্য আরও স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন, যার জন্যে সবার আগে প্রয়োজন ঘুণে ধরা রাজনীতিবিদ ও আমলা শ্রেণির বদ মানসিতকার পরিবর্তন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় নীতিনির্ধারক পর্যায়ে একটি স্পষ্ট দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়। একদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে, অন্যদিকে সরকার আগামী অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ১.০৪ লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই দ্বন্দ্বে মনে হচ্ছে, নিয়ত সৎ হলেও নীতিনির্ধারদের মধ্যে কোনো এক অনিশ্চয়তাবোধ কাজ করছে, যা তাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরিতে বাধা তৈরি করছে। এই প্রবণতা দীর্ঘ হলে নিশ্চিতভাবেই ব্যাংকিং খাতের তারল্য সংকট আরও তীব্র হবে, সুদহার উচ্চ থাকবে এবং বেসরকারি খাতের জন্য ঋণপ্রাপ্তি আরও দুরূহ হয়ে উঠবে। অর্থাৎ মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রকট। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কেবল স্বল্পমেয়াদি ঋণনির্ভরতা নয়, গভীর কাঠামোগত সংস্কারও অপরিহার্য। এ জন্য দুর্নীতি দমন ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়ন (বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য), অবকাঠামোগত উন্নয়ন, একটি স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য অর্থনৈতিক নীতি কাঠামো বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। শিল্পনীতিতে রাষ্ট্রের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতার স্বচ্ছ সীমারেখা নির্ধারণ করে একটি আধুনিক, বিনিয়োগবান্ধব এবং প্রতিযোগিতামূলক শিল্প পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে ভোক্তা ব্যয় সংকোচন, বিনিয়োগ স্থবিরতা, মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং আর্থিক খাতের দুরবস্থায় জর্জরিত। মনে রাখতে হবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কিছুটা উন্নতি হলেও তা মূলত বৈদেশিক ঋণ, যা সুদাসল অবমূল্যায়িত মুদ্রার জরিমানাসহ শোধ করতে হবে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা খুচরা বাণিজ্য থেকে শুরু করে শিল্প উৎপাদন পর্যন্ত সবখানে ধস নামাচ্ছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যর্থতা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, দুর্নীতি-চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এই সংকটকে আরও গভীর ও তীব্র করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি, সুদূরপ্রসারী ও সমন্বিত নীতিকৌশল এবং দুর্নীতি দমনে কঠোর পদক্ষেপ। শুধু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক গতিশীলতা ফিরিয়ে ভোক্তাদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হতে পারে। অন্যথায় দেশকে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক মন্দার ধকল সইতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্যানেল/মো.