
এডিস নামক মশার কামড়ে সৃষ্ট হয় ডেঙ্গু জ্বর। মশার কামড়ের ৩-১৫ দিনের মধ্যে এ জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা যায়। বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ। গত জুনে এডিসবাহিত এ রোগের প্রকোপ ছিল সর্বোচ্চ। জুন মাসের আবহাওয়া ছিল ডেঙ্গুর অনুকূলে, এমনটাই বলছেন কীটতত্ত্ববিদরা। ডেঙ্গু জ্বরের ফলে সমস্ত শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়, ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত উচ্চ জ্বর, বমি বমি ভাব, শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি, চোখের মণির পেছনে ব্যথা, তীব্র মাথা ব্যথাসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
শিশু ও বয়স্কদের খুব সহজেই এই ডেঙ্গু ভাইরাস কাবু করে ফেলে। তাই ডেঙ্গুর ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন এবং মশা নিধনে কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করুন। এছাড়া মশার বংশ বিস্তার রুখতে বালতি, ফুলের টব, নারকেলের খোসা ইত্যাদিতে পানি জমিয়ে না রেখে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এছাড়া ড্রেনগুলো রাখতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে ভয় না পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
মরিয়ম ফেরদৌস
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
প্যানেল/মো.