
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝেও টিকটকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কয়েক মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভিডিও দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত সময় ধরে টিকটক ব্যবহার করলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে মারাত্মক প্রভাব।
বিশেষজ্ঞদের মতে,
মনোযোগের সমস্যা:
অল্প সময়ের ভিডিও একের পর এক দেখা মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শিশু-কিশোরদের মধ্যে সহজে এক জিনিসে মন বসাতে না পারার প্রবণতা বাড়ছে।
ডোপামিন ড্রাইভ:
প্রতিটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারে তৈরি হয় স্বল্পমেয়াদি আনন্দের অনুভূতি। ফলে ব্রেইন ক্রমাগত তা চাইতে থাকে, যা আসক্তির দিকে নিয়ে যায়।
হতাশা ও হীনমন্যতা:
টিকটকে “পারফেক্ট লাইফ” বা “গ্ল্যামারাস লুক” দেখে অনেকেই নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভাবতে শুরু করেন। এতে ডিপ্রেশন ও কম আত্মমর্যাদাবোধ তৈরি হয়।
ঘুমের সমস্যা:
রাত জেগে ভিডিও দেখা একসময় ঘুমের রুটিন নষ্ট করে, যার প্রভাব পড়ে পড়াশোনা বা কাজের ওপর।
সোশ্যাল আঙিনায় একাকীত্ব:
রিয়েল লাইফের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কমে যেতে থাকে, যা সমাজবিমুখী করে তোলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাবরিনা ইয়াসমিন বলেন, “টিকটক বা এই ধরনের অ্যাপের অতিরিক্ত ব্যবহার ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এটি আত্মমর্যাদা, মনোযোগ ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।”
বিশেষজ্ঞরা অভিভাবক ও শিক্ষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন, শিশু-কিশোরদের টিকটক ব্যবহারে নজর রাখার, দিনে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ব্যবহার না করার এবং পারিবারিক সময় বাড়ানোর।
আঁখি