ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

যত বেশি প্রশ্ন, তত বড় বিপদ! এআই ব্যবহারেই ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ?

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ৩ জুলাই ২০২৫

যত বেশি প্রশ্ন, তত বড় বিপদ! এআই ব্যবহারেই ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ?

ছবি: সংগৃহীত

কাজের ইমেইল থেকে শুরু করে বিয়ের শুভেচ্ছা বার্তা—প্রতিদিন নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে জেনারেটিভ এআই। কিন্তু গবেষণা বলছে, প্রতিটি সমস্যার সমাধান দিতে এআই-এর পেছনে লুকিয়ে আছে পরিবেশের ওপর বড় প্রভাব।

প্রতিটি এআই প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে লাগে কয়েকগুণ বেশি শক্তি, যা সাধারণ গুগল সার্চের তুলনায় ১০ গুণ পর্যন্ত বেশি। কারণ, এই প্রশ্নের প্রতিটি শব্দ বড় ডেটা সেন্টারে বিশ্লেষণ করা হয়, যেগুলো অনেক সময় কয়লা বা গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে চলে।

জার্মানির এক গবেষণায় দেখা গেছে, জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে এআই ৬ গুণ বেশি কার্বন নিঃসরণ করে। আবার উন্নত মডেলগুলো সাধারণ মডেলের তুলনায় ৫০ গুণ বেশি কার্বন নিঃসরণ করে।

গবেষক ম্যাক্সিমিলিয়ান ডাউনর বলেন, “উন্নত এআই মডেলগুলো বেশি শক্তি খরচ করলেও উত্তর বেশি নির্ভুল হয়।” সাধারণত বড় মডেলগুলোতে কোটি কোটি প্যারামিটার থাকে, যা বেশি প্রসেসিং ক্ষমতা দেয়।

তবে ব্যবহারকারীরাও চাইলে কার্বন খরচ কমাতে পারেন। গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, প্রশ্নের উত্তর সংক্ষিপ্ত রাখতে, অপ্রয়োজনীয় সৌজন্য বা দীর্ঘ ব্যাখ্যা এড়াতে।

এআই বিশেষজ্ঞ সাশা লুসিওনি বলেন, “সব কাজেই বড় মডেল দরকার নেই। নির্দিষ্ট কাজে ছোট, দক্ষ মডেল ব্যবহারে ফল একই হয়, শক্তিও কম লাগে।”

তবে গবেষকরা বলছেন, সব এআই মডেলের পরিবেশগত প্রভাব পরিমাপ করা কঠিন, কারণ কোম্পানিগুলো এ তথ্য প্রকাশ করে না। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীর অবস্থান ও হার্ডওয়্যারও শক্তি ব্যবহারে বড় ভূমিকা রাখে।

দায়বদ্ধতা বাড়াতে গবেষকরা চাইছেন, প্রতিটি এআই জবাবের কার্বন খরচ জানানো হোক। এতে হয়তো মানুষ ভাববে, শুধুমাত্র মজা বা অপ্রয়োজনীয় কারণে এআই ব্যবহার কতটা যুক্তিযুক্ত।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, প্রতিটি জায়গায় এআই চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। “অনেক জায়গায় আমরা আসলে এআই চাইওনি,” বলছেন লুসিওনি।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রে শিগগিরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আসার সম্ভাবনা কম, তবে শক্তি খরচ কমানোর প্রযুক্তি উন্নয়ন নিয়ে কাজ চলছেই।

আবির

×