
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বুধবার (২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে পাটগ্রাম থানায় বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিএনপির দু'জন কর্মীকে আটক করে এক মাসের সাজা দেয় পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন। পাটগ্রামের অ-বাজার এলাকা থেকে রাতে বেলাল ও সোহেল নামে দু'জনের কাছে ১ লাখেরও অধিক টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করা হয় বলে জানান পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস।
পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সফিকার রহমানের কাছ থেকে জানা যায়, পাটগ্রাম থানায় এই দু'জনকে নিয়ে যাওয়ার খবরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাস্থলে তোপের মুখে ওই দু'জন মুক্ত হন। গ্রেফতার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর, মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। মূলত গ্রেফতারের ঘটনায় অস্থিরতা তৈরি হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এসময় গুরুতর আহত বিএনপি নেতা চপলসহ প্রায় ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় পাথর-বালু ইজারাদার ও পৌর যুবদল নেতা মাহমুদ হোসেন রাব্বী গভীর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে টাকা নেওয়াকে বৈধ দাবি করে ওসি মিজানুর রহমানের শাস্তির দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমরা পাটগ্রাম উপজেলার নয়টি মৌজা টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছি। আমাদের কাছে ওসি চাঁদা চেয়েছিল, দেইনি বলে এমনটা হয়েছে।”
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, “থানায় হঠাৎ আক্রমণের ঘটনা ঘটলে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা থানার ভিতরে ঢুকে বেশকিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয়।” তিনি জানান, এসময় ৮ জন পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সানজানা