ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

রাজবাড়ীর শত বছরের সাক্ষী অন্নপূর্ণা মন্দির

সোহাগ মিয়া, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ২২:১৪, ৩ জুলাই ২০২৫

রাজবাড়ীর শত বছরের সাক্ষী অন্নপূর্ণা মন্দির

রাজবাড়ীর অন্নপূর্ণা মন্দির বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন মন্দিরের মধ্যে একটি। অন্নপূর্ণা দেবীকে সনাতন ধর্মের খাদ্যের দেবী হিসেবে পূজা করা হয়।

অন্নপূর্ণা পূজার সময় দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন ভক্তরা এখানে আসেন। বাংলাদেশের অন্নপূর্ণা দেবীর দুটি মন্দির রয়েছে এর মধ্যে রাজবাড়ীর খানখানাপুরের প্রাচীনতম মন্দির। এই মন্দির প্রাঙ্গণ দুর্গাপূজার মূর্তি বিসর্জন ঘাট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বাৎসরিক অষ্টকালীন লীলা কীর্তন সহ গোষ্ঠের মেলা ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে মন্দির সম্পর্কে জানা যায়, শ্রী শ্রী অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির দক্ষিণবঙ্গের দ্বারপথ দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সোজা দক্ষিনে এশিয়ান হাইওয়ের পশ্চিমে অবস্থিত রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির। এই মন্দিরটির রাজবাড়ী জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন। বঙ্গের অন্যতম স্বাধীনচেতা ভুইয়া রাজ পরম বিক্রমশালী রাজা প্রতাপাদিত্যের (১৫৯৯) সময় থেকে অন্নপূর্ণা নামে দেবোত্তর ভূমিদানের প্রচলন ছিল। ভৃষনার জমিদার ছত্রাজীতের পতনের পর ভৃষণার কিয়দংশ বিশেষ করে বর্তমান রাজবাড়ী তার দখলে আসে। তৎকালীন প্রসিদ্ধ খানখানাপুর প্রতিষ্ঠিত অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির তার সময়কালে হয় বলে ধারণা করা যায়। বর্তমানে সুদৃশ্য ইমারত বিশিষ্ট মন্দির। এর প্রতিটি স্তম্ভ কারুকার্যপূর্ণ। অনেক দেব দেবীর মধ্যে মা অন্নপূর্ণা অন্নের দেবী। গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, আর পুকুর ভরা মাছ, বাংলার সুখ সমৃদ্ধির বিষয়ে এমন গাথা থাকলেও দুর্ভিক্ষ আর নিরন্ন মানুষের ইতিহাসও আছে। অন্নের দেনী অন্নপূর্ণা, বিদ্যার দেবী সরস্বতী। ইহকাল জীবনের প্রয়োজন বোধহে তাদের পূজা আরাধনা বঙ্গের হিন্দু ধর্মালম্বীরা করে আসছে।মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে প্রতিবেদকে জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, দিপক কুমার দে সাধারণ সম্পাদক শ্রী শ্রী অন্নপূর্ণা মন্দির পরিচালনা কমিটি, সুমন কুমার ভজন কোষাধক্ষ্য শ্রী শ্রী অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির পরিচালনা কমিটি, অভিজিৎ পাল শশী, সৌরভ কুন্ডু, অন্তর জানি কুন্ডু, শশী কুন্ডু প্রমুখ।

রাজু

×