
ছবিঃ সংগৃহীত
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক জরুরি। এটা শুধু হাড়কে মজবুত রাখে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, এই ভিটামিনটা খুব সহজে পাওয়া যায়—রোদ, খাবার আর সামান্য কিছু সচেতনতার মাধ্যমেই।
রোদে থাকুন, সুস্থ থাকুন:
ভিটামিন ডি তৈরির সবচেয়ে প্রাকৃতিক উপায় হলো সূর্যের আলো। সকালবেলা যখন রোদ একটু তেজি থাকে, তখন ১০–৩০ মিনিট খোলা ত্বকে রোদ লাগালেই শরীর নিজে নিজেই ভিটামিন ডি বানিয়ে নেয়। সপ্তাহে ২/৩ দিন সূর্যের আলোতে থাকতে হবে। তবে ত্বক বেশি সংবেদনশীল হলে একটু কম সময় থাকাই ভালো। আর সানস্ক্রিন দিলে উৎপাদন কমে যেতে পারে, সেটাও মাথায় রাখুন।
খাবারেও আছে ভিটামিন ডি:
সব রোদ তো আর পাওয়া যায় না, বিশেষ করে শহরের জীবনে বা শীতকালে। তাই খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে।
- চর্বিযুক্ত মাছ – যেমন সালমন, টুনা, ম্যাকারেল বা সার্ডিন: এগুলো দারুণ ভিটামিন ডি-এর উৎস।
- ডিমের কুসুম – প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলেও কিছুটা ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
- ফর্টিফায়েড খাবার – বাজারে এখন অনেক দুধ, সিরিয়াল আর দই পাওয়া যায় যাতে আলাদাভাবে ভিটামিন ডি মেশানো থাকে। এগুলোকেও খাদ্যতালিকায় রাখুন।
সাপ্লিমেন্টের সাহায্য:
সবসময় রোদ বা খাবার থেকেই প্রয়োজন মিটে না। তখন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। এটা বড়দের জন্য ট্যাবলেট আকারে এবং ছোটদের জন্য তরল সাপ্লিমেন্ট আকারে পাওয়া যায়।
কিছু কথা মনে রাখা ভালো:
- ত্বকের রঙ: গাঢ় ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি হতে একটু বেশি সময় লাগে।
- অবস্থান: আপনি যদি এমন দেশে থাকেন যেখানে রোদ কম বা শীত বেশি, তাহলে সাপ্লিমেন্ট হতে পারে ভালো সমাধান।
- বয়স: বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি কম তৈরি হয়, তাই তাদের একটু বেশি খেয়াল রাখতে হয়।
- স্বাস্থ্য ও ওষুধ: কিছু রোগ বা ওষুধ আছে যা শরীরের ভিটামিন ডি শোষণে বাধা দিতে পারে। তাই সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলাই ভালো।
ভিটামিন ডি পাওয়া আসলে খুব একটা কঠিন নয়। একটু রোদে হাঁটা, সঠিক খাবার খাওয়া আর দরকার হলে সাপ্লিমেন্ট—এই তিনটুকু করলেই আপনি নিজেকে আরও স্বাস্থ্যবান রাখতে পারবেন।
মারিয়া