
ছবি: সংগৃহীত
শরীরের হাড় আমাদের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতার ভিত্তি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় থাকা, সুস্থ খাবার খাওয়া যেমন জরুরি, তেমনি হাড়ের যত্ন নেওয়াও অপরিহার্য। কিন্তু আমরা অনেকেই অবহেলা করি হাড়ের স্বাস্থ্যকে। কিছু সাধারণ অভ্যাসই ধীরে ধীরে হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়, যা ভবিষ্যতে ফ্র্যাকচার, স্ফিট বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণ হতে পারে।
নিচে পাঁচটি অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যা হাড় দুর্বল করার প্রধান কারণ—
১. অনেকক্ষণ বসে থাকা ও অক্রিয় থাকা
দীর্ঘ সময় বসে থাকা হাড়ের ঘনত্ব কমায়, বিশেষ করে মেরুদণ্ড ও কূলহাড়ে। ওজন বহনকারী হাড়ের উপর যথেষ্ট চাপ না পড়লে হাড় ক্ষয় দ্রুত হয়। অফিসে বসে কাজ করা লোকেদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
২. ধূমপান ও তামাক ব্যবহার
ধূমপান হাড়ের রক্তসঞ্চালন ব্যাহত করে, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির শোষণ কমায়, নারীদের শরীরে এইস্ট্রোজেন হ্রাস করে এবং হাড় গঠনের কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। হালকা ধূমপানও হাড় ক্ষয়ের গতি বাড়ায় ও ফ্র্যাকচার সেরে ওঠার সময় বাড়ায়।
৩. অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ
প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন (প্রায় ৩-৪ কাপ কফি) কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম কমে যায়।
৪. নিয়মিত সোডা পান করা
সোডায় থাকা ফসফোরিক অ্যাসিড শরীরের ক্যালসিয়াম-ফসফরাসের ভারসাম্য নষ্ট করে। এটি ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয় এবং শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করে রক্তে রাখার চেষ্টা করে।
৫. অনিয়মিত ও কম ঘুম
গভীর ঘুমের সময় শরীর গ্রোথ হরমোন মুক্তি দেয়, যা হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব কমে এবং পুনর্নিমাণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় নিয়মিত শারীরিক কর্মব্যায়াম, ধূমপান ত্যাগ, ক্যাফেইন ও সোডা কমানো এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। ক্ষতি কমিয়ে সুস্থ ও শক্তিশালী হাড়ের জন্য এখনই অভ্যাস বদলানো শুরু করুন।
আবির