ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা

আঃ রহিম গাজী, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৬:০৯, ৪ জুলাই ২০২৫

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫ নং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।

সরেজমিনে দেখা যায়, উক্ত ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। ভবনটির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে এবং উপরের পলেস্তারা খসে পড়ে বৃষ্টির পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মূল‍্যবান ঔষধপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়া, একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে চরম ঝুঁকি নিয়ে দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘৫ নং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তারপরও নেওয়া হচ্ছে না সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেলর কাছে বারবার লিখিত চিঠি প্রেরণ করেছি এবং মৌখিকভাবেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ফলাফল পাইনি, শুধু আশ্বাস পেয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেজবাহ উদ্দিন জানান, ‘চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং ভবনটির পূর্ণাঙ্গ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি। অনুমোদন পেলে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’

পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘চালিতাবুনিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার জন্য পাশের কোনো ভাড়া বাসায় কাজ চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের প‍্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বিপ্লব হাওলাদার বলেন, এই কেন্দ্রটি শিশু, নারী ও সাধারণ জনগণের জন‍্য অপরিহার্য। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে স্বাস্থ্যসেবা প্রভাবিত হচ্ছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।

স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির সময় ভবন থেকে পানি পড়ে, দেয়াল ভেঙে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। সরঞ্জামের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব রয়েছে। নতুন ভবন হলে সেবা মান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাকিব

×