
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান বিশ্বে ইংরেজি যোগাযোগ দক্ষতা একটি অপরিহার্য বিষয়। চাকরি, পড়াশোনা কিংবা দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে ইংরেজি জানাটা শুধু বাড়তি সুবিধা নয়—অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে।
Statista অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে এবং ৬৭টি দেশে ইংরেজি অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে, ভালো ইংরেজি যোগাযোগ দক্ষতা মানে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের দরজা খুলে দেওয়া।
আপনি যদি ইংরেজি একটু-আধটু বলতে পারেন, তবুও আরও ভালো করার সুযোগ সবসময়ই থাকে। নিচে ৭টি সহজ ও কার্যকর ধাপে জানানো হলো কীভাবে আপনি আপনার ইংরেজি কমিউনিকেশন স্কিল উন্নত করতে পারেন।
ইংরেজি যোগাযোগের চারটি মূল দক্ষতা
১. স্পিকিং (কথা বলা):
স্পষ্ট ও সঠিক টোনে নিজের ভাব প্রকাশ।
২. লিসেনিং (শোনা):
অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও বোঝা।
৩. রিডিং (পড়া):
ইমেইল, গাইডলাইন বা যেকোনো লিখিত তথ্য পড়া ও বুঝা।
৪. রাইটিং (লেখা):
ইংরেজিতে মনের কথা বা প্রয়োজনীয় বার্তা লিখে প্রকাশ করা।
ইংরেজি যোগাযোগের চারটি মূল দক্ষতা
১. স্পিকিং (কথা বলা):
স্পষ্ট ও সঠিক টোনে নিজের ভাব প্রকাশ।
২. লিসেনিং (শোনা):
অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও বোঝা।
৩. রিডিং (পড়া):
ইমেইল, গাইডলাইন বা যেকোনো লিখিত তথ্য পড়া ও বুঝা।
৪. রাইটিং (লেখা):
ইংরেজিতে মনের কথা বা প্রয়োজনীয় বার্তা লিখে প্রকাশ করা।
ইংরেজি দক্ষতা উন্নয়নের ৭টি বাস্তবধর্মী ধাপ
১. দৈনন্দিন সহজ বাক্য ব্যবহার করুন
প্রতিদিন ব্যবহৃত ১০-১৫টি সম্পূর্ণ ইংরেজি বাক্য মুখস্থ করুন ও চর্চা করুন।
যেমন:
“Can I have a glass of water?”
“I will get back to you tomorrow.”
“Sorry, I didn’t understand. Can you repeat that?”
এই ধরনের বাক্য নিয়মিত বললে ফ্লুয়েন্সি বাড়ে।
২. নিজে নিজে ইংরেজি বলার অভ্যাস করুন
স্পিকিং পার্টনার না থাকলেও আপনি নিজেই কথা বলুন।
যেমন:
“I am making tea.”
“I need to leave in 10 minutes.”
“Today I worked on a project.”
মিররের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলুন – এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
৩. ইংরেজি শো দেখে নতুন শব্দ ও বাক্য শেখা
Friends, The Office বা ইংরেজি কার্টুনের মতো সহজ সিরিজ দিয়ে শুরু করুন।
পদ্ধতি:
প্রথমে ভিডিওটি দেখুন
দ্বিতীয়বার সাবটাইটেলসহ দেখুন
তৃতীয়বার সংলাপগুলো বলার চেষ্টা করুন
YouTube-এর ভিডিও গতি কমিয়ে (0.75x) দেখলে উচ্চারণ বোঝা সহজ হয়।
৪. নিজের ভোকাবুলারি বই তৈরি করুন
নতুন শব্দ শেখা মানে সেগুলো ব্যবহারও করা।
যেমন:
Word: Attend
Sentence: I will attend the meeting at 4 PM.
প্রতিদিন ৩–৫টি শব্দ লিখুন এবং রোববার সেগুলো পুনরাবৃত্তি করুন।
৫. জোরে জোরে পড়া ও নেটিভ স্পিকারের মতো অনুকরণ করা
জোরে পড়ে মুখের মাংসপেশিকে প্রশিক্ষণ দিন। শ্যাডোয়িং টেকনিক ব্যবহার করে ভিডিও বা অডিও শুনে সেটার সঙ্গে সঙ্গে অনুকরণ করুন।
টিপস:
উচ্চারণ পারফেক্ট হওয়া জরুরি না, স্বাভাবিক ও সাবলীল হওয়াই লক্ষ্য।
৬. লেখার অভ্যাস গড়ুন – জার্নাল ও অনলাইন পোস্টের মাধ্যমে
প্রতিদিন ৫ লাইনের জার্নাল লিখুন বা ইনস্টাগ্রামে ইংরেজি ক্যাপশন দিন।
টিপস:
Grammarly বা QuillBot ব্যবহার করে ভুল ধরুন এবং শেখার চেষ্টা করুন।
৭. ফিডব্যাক চেয়ে নিন এবং চর্চা চালিয়ে যান
একজন বন্ধু বা শিক্ষককে আপনার লেখা বা বলা কিছু শুনিয়ে তাদের মতামত নিন।
পদ্ধতি:
১ মিনিটের ভয়েস রেকর্ড পাঠান
তাদের ফিডব্যাক থেকে একটি “মিসটেক ট্র্যাকার” তৈরি করুন
প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে একবার রিভিউ করুন
বোনাস ধাপ: প্রযুক্তির সাহায্য নিন
উপকারী অ্যাপস ও টুলস:
Duolingo, HelloTalk, BBC Learning English
Grammarly (লেখার ভুল ধরতে)
Coursera, Alison (ফ্রি অনলাইন কোর্স)
ChatGPT (আলোচনা বা লেখা সংশোধনের জন্য)
অতিরিক্ত টিপস: ইংরেজি স্পিকিং আরও সাবলীল করার জন্য
"um", "like", "you know"—এই ফিলার শব্দ এড়িয়ে চলুন
“Tell me about yourself”–এর মতো প্রশ্নের উত্তর প্র্যাকটিস করুন
ধীরে কথা বলুন, স্পষ্ট করে বলার অভ্যাস গড়ুন
নিজেকে রেকর্ড করুন ও শুনে ভুল ধরুন
খবর বা স্লো স্পিড পডকাস্ট শুনুন
বডি ল্যাঙ্গুয়েজে আত্মবিশ্বাস দেখান – হাসুন, চোখে চোখ রাখুন
কথার পুনরাবৃত্তি করে বোঝা নিশ্চিত করুন – “So you are saying I should…?”
কেন ইংরেজি যোগাযোগ দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ?
ইন্টারভিউ ও মিটিংয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
ইমেইল ও রিপোর্ট লেখা সহজ হয়
গ্রুপ আলোচনায় সাবলীল হওয়া যায়
বিদেশে পড়াশোনা বা চাকরির সুযোগ তৈরি হয়
ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়
অন্যরা আপনাকে আরও পেশাদারভাবে গ্রহণ করে
নোভা