
ছবি: জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পাহাড়ে চাষ বিদেশি বিদেশি পিচফল। উত্তর চট্টগ্রামের প্রথম বারের মত এই ফলের আবাদ হয়েছে। গাছ থেকে ফল তোলা শুরু করেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. ওমর শরীফ। তার বাগানে দেশী ফলের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ফলের গাছ রয়েছে। এবার পিচ গাছে ফলন আশায় খুশী তিনি।
সরেজমিনে জোহরা অ্যাগ্রো ফার্মের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, গাছভর্তি ফল থোকায় থোকায় ঝুলছে। ফল দিয়ে যেন পুরো গাছটি সাজানো হয়েছে। পিচ গাছ মাঝারি আকারের বৃক্ষ, পাতা অনেকটা ডালিম বা শরিফা পাতার মতো দেখতে। পাতার গোড়ায় অনেক ছোট ছোট পাতা থাকে। ফুলের রঙ গোলাপি। ফল দেখতে ডিম্বাকার তবে মুখটা আমের মতো বাঁকানো ও সুচালো। কাঁচা ফলের রঙ সবুজ পাকলে হালকা হলুদের ওপর লাল আভা সৃষ্টি হয়। কাঁচা ফল শক্ত, খোসা খসখসে। কিন্তু পাকলে নরম হয়ে যায় ও টিপ দিলে সহজে ভেঙে যায়। পাকা ফলের রসালো শাঁস হালকা হলুদ ও ভেতরের দিকে লাল, শাঁসের স্বাদ টক। ফলের মধ্যে খয়েরি রঙের একটা শক্ত বিচি থাকে। পিচ ফল পাকে মে-জুন মাসে। এক কেজি ফল থেকে প্রায় ৪৭০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। চোখ কলম করে পিচ ফলের বংশবৃদ্ধি সম্ভব।
তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. ওমর শরীফ জানান, ২০২১ সালে থাইল্যান্ড থেকে ৬টি পিচ গাছের চারা এনে তার বাগানে লাগান। এবার চারটি গাছে ফলন এসেছে। ভিদদেশী ফল গাছে ফলন আসা তিনি অনেক খুশী। চারা লাগানোর চার বছরের মাথায় গাছে ফল ধরেছে। আগামীতে তিনি চাষের পরিধি আরো বাড়ানোর পাশাপাশি পিচ চারাও বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বাগানে পিচফল ছাড়াও রয়েছে বিদেশি ফল এ্যাভাকাডো, থাই সফেদা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়ে অবস্থিত তারা বাগানে রয়েছে বিদেশি বিশ্বের দামি মিয়াজাকি (সূর্যডিম) কিউজাই, ব্যানানা ম্যাংগো, ইন্দোনেশিয়ান ব্রæনাই কিং, কিং অফ চাকাপাত, আলফেনসো, আলফানচুন, থাই ব্যানানা। রয়েছে দারচিনি, লবজ্ঞ, পুলসান, রাম্বুটান, আপেল, তেঁতুল, থাই সপদা, চেনাক ফ্রুট, থাই বেরিকেডেট মাল্টা, বারোমাসি মাল্টা, চাইনিজ কমলা, দার্জিলিং কমলা, চায়না ৩ লিচু, লটকন, কাঁঠাল, ভিয়েতনাম নারিকেল, শ্রীলংকান নারিকেল।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, পিচফল খুব ভালো একটি ফল। এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারি। মিরসরাইয়ে প্রথম কেউ এই ফলের পরীক্ষামূলক চাষ করেছে। তরুণ উদ্যোক্তা ওমর শরীফ ভাইয়ের বাগানে দেশি-বিদেশি অনেক ধরনের ফলের গাছ রয়েছে। তার মধ্যে পিচফল অন্যতম।
সাব্বির