
ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে উপজেলার সীমান্তবর্তী জামছড়ি, সাপমারা ঝিরিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এ ঘটনার পর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ও আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সীমান্তবর্তী স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে মিয়ানমারে জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে দখল করা একটি চৌকি পুনরুদ্ধারের জন্য আরএসওর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আরাকান আর্মি। সংঘর্ষের পেছনে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা।
জামছড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, বিকেলে সীমান্তের ওই পারে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে। মিয়ানমারের অভ্যস্ত থেকে এ গুলি শব্দ শুনা গেছে বলে জানান তিনি।
এ পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিওপিগুলোতে অবস্থানরত ১১ বিজিবি ও ৩৪ বিজিবি তাদের টহল জোরদার করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Mily