ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

১৫ কি.মি. সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

মোঃ আক্তার হোসেন সুমন, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩:৩৬, ৪ জুলাই ২০২৫

১৫ কি.মি. সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ছবি: জনকণ্ঠ

দোয়ারাবাজার থেকে সুনামগঞ্জে যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। দোহালিয়া বাজার, দোয়ারাবাজার, শ্রীপুরবাজার, শ্যামলবাজার হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরত্বে জেলা শহর সুনামগঞ্জ। এই সড়কের দুই পাশে সারি সারি গাছ। স্থানীয় এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, প্রায় শতাধিক গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছ পচে ঘুণে ধরেছে। এসব মরা গাছ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো সময় গাছ ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে গাছপালা ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। দোয়ারাবাজার-আমবাড়ি সড়ক, পাণ্ডারখাল বাঁধসহ জনবহুল এলাকায় বহু গাছ শুকিয়ে মরে গেছে, যা এখনো অপসারণ করা হয়নি। বিপদের আশঙ্কায় স্থানীয়রা নিজেরা উদ্যোগ নিতে গেলেও প্রশাসনিক জটিলতায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

সরেজমিনে আমবাড়ি বাজার ও কাটাখালী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে ৮-১০টি মরা গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে, যার নিচ দিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। অনেক গাছের ডালপালা ইতিমধ্যে ভেঙে পড়েছে, কোথাও গোড়ায় ধরেছে পচন।

অটোরিকশা চালক সুহেলসহ একাধিক চালক জানান, “প্রায় ১০ বছর ধরেই মরা গাছের নিচ দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি, কিন্তু ভয় লাগে—যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

স্থানীয় শ্যামলবাজারের বাসিন্দা উসমান অভিযোগ করে বলেন, “কর্তৃপক্ষের হীনমন্যতায় গাছগুলো এভাবে নষ্ট হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টিতে মাঝে মধ্যে মরা ডাল বা গাছ ভেঙে পড়ে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। পরে পচে গেলে আশপাশের মানুষ রান্নার কাজে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যায়।”

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ জনকণ্ঠ কে বলেন, “আসলে গাছগুলো মরে গেছে এবং যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে মানুষ বা যানবাহনের ওপর বিপদ ঘটাতে পারে। বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মুমু ২

×