
সিলেটের কানাইঘাটে বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে অপহরণ ও পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের কচুপাড়া গ্রামের ১৮ বছর বয়সী এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে নিয়ে যানবাহনে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের একটি বালুচরে মেয়েটিকে জামাকাপড় ছেঁড়া ও শারীরিকভাবে দুর্বল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তিনজন ব্যক্তি তাকে ‘খারাপ কাজ’ করেছে।
ভুক্তভোগীর মা নুর জাহান বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তিন আসামি হলেন উমাগড় গ্রামের মৃত নিখিল দাসের ছেলে নোহা চালক শুভংকর দাস (২৭), কচুপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমদের ছেলে ক্যারিকাভ চালক বাবুল আহমদ (২৮), চটিগ্রাম গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে পিকআপ চালক ফাহাদ মিয়া (২৫)।
মেয়েটির মা জানান, তার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় মাঝে মাঝে কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। এ কারণে রাতে মেয়েকে আঁচলে বেঁধে রাখতেন। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ঘুম ভেঙে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা এবং মেয়ে নিখোঁজ।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েটির অবস্থান নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার থানায় হাজির হন তিনি।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, “বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়ির অদূরে বীরদল খালোমোরা নামক স্থানে একা পেয়ে আসামিরা নোহা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। থানায় মামলা দায়েরের পর ভিকটিমকে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি জানান, ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
মিমিয়া