
দৈনিক জনকণ্ঠ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের মিডিরা সেলে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগির পাভেলকে মিডিয়া সেলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি এতদিন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মিডিয়া সেলের কার্যক্রমকে আরও পেশাদার, গতিশীল ও সমন্বিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক পাভেল ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দলের বার্তা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তার নেতৃত্বে মিডিয়া সেল বিভিন্ন ইস্যুতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো, সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের অবস্থান তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা বলেন, “অধ্যাপক পাভেল একজন দক্ষ সংগঠক ও বিশ্লেষক। মিডিরা সেলের নেতৃত্বে তিনি ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছেন যে, তিনি দায়িত্ব পালনে সক্ষম। তার নেতৃত্বে মিডিয়া সেল আরও কার্যকর ও প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগির পাভেল একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও সার্জারির খ্যাতিমান এই অধ্যাপক শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (বগুড়া) এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া জেলার গাবতলী এলাকার বাসিন্দা।
তিনি সার্জিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ–এর সভাপতি ছিলেন এবং সার্ক সার্জিক্যাল সোসাইটির পক্ষ থেকে “Icon of Surgery” পুরস্কার লাভ করেন। এই সম্মাননা তাকে দক্ষিণ এশিয়ার একজন শীর্ষ সার্জন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
শিক্ষা ও চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি অধ্যাপক পাভেল দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য, কৌশলগত মিডিয়া ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল মিডিয়া কভারেজে তার দক্ষতা দলের ভেতরে-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ২০২২ সালে। শুরুতে জহির উদ্দিন স্বপন আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তার গ্রেপ্তারের পর অধ্যাপক পাভেল ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।
এবার তাকে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ প্রদান, মিডিয়া সেলের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিডিয়া সেলকে আরও আধুনিক ও তথ্যভিত্তিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান ও বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে মিডিয়া সেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
হ্যাপী