
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অনেক দল সরে গেছে। এ অবস্থায় শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য নির্বাচনী জোটের কথা। তবে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান নিয়ে এখনও স্পষ্টতা আসেনি।
একটি রাজনৈতিক আলোচনায় এই ইস্যুতে প্রশ্ন রাখেন উপস্থাপিকা। উত্তরে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার বলেন, “দেখুন, আমরা গত কয়েক মাস ধরে জামায়াতে ইসলামীর এক ধরনের প্রসারিত কৌশল লক্ষ্য করছি। তারা কখনও ইসলামপন্থীদের একত্রিত করার কথা বলছে, আবার কখনও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে জোটের মতো কথা বলছে। পিআর (প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি) নিয়ে তাদের আপত্তি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে এবং জাতীয় নির্বাচন পরে চাওয়ার মতো ইস্যুগুলোও আছে।”
তিনি বলেন, “আমার শঙ্কা হচ্ছে, এভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পেছানোর একটি চেষ্টাও হতে পারে। বারবার শর্ত আর দাবির কারণে হয়তো ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আবার যদি হয়ও, দেখা যাবে বিএনপি অংশ নিচ্ছে আর বাকিরা নানা অজুহাতে পেছনে সরে যাচ্ছে; কেউ বলবে নিবন্ধন নেই, কেউ বলবে মার্কা নেই। এতে ভয়াবহ অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে।”
আশরাফ কায়সার আরও বলেন, “আমরা একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে জানি, যারা আমাদের রাজনীতিতে ১৬ বছর ধরে হস্তক্ষেপ করেছে। এবারও তারা কোনো কোনো দলকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, কার দাবি গ্রহণযোগ্য তা এগিয়ে নিচ্ছে। এই চেষ্টাগুলো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পেছানোর বাইরে আর কী ফল বয়ে আনবে, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।”
মিমিয়া