
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম শহিদ খান বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি বলেন, মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি, বরং গনতন্ত্রের নামে এখন ‘মবতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে আবু আলম শহিদ খান উল্লেখ করেন, মানুষ ভোটের মাধ্যমে সরকারের নির্বাচনের প্রত্যাশা করে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট ব্যবস্থায় নানা জটিলতা ও শর্ত আরোপ করা হচ্ছে, যা মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে বিভক্ত করছে। তিনি বলেন, "পি আর সিস্টেম চালু করতে হবে, আনুপাতিক হারে ভোট দিতে হবে—কিন্তু এসব নিয়ে নানা অজুহাত তৈরি হচ্ছে, যেগুলো জনগণের ভোটাধিকারকে বাধাগ্রস্থ করছে।"
তিনি আরো বলেন, ৫ই আগস্টের আগে কোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়নি, বরং “বাংলাদেশ ২.০” নামের উদ্যোগগুলোর বেশিরভাগই ৫ই আগস্টের পর থেকেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই বিষয়গুলো দেশের জনগণের মধ্যে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি, ফলে মানুষের প্রকৃত চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ হয়নি।
আবু আলম শহিদ খান আরও বলেন, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য কোনো সংস্কারমূলক কমিটি গঠন করা হয়নি। দেশে এখন যে অবস্থায় মবজাস্টিসের রাজত্ব রয়েছে, তা মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একমত নয়। অতীতে মোব (হিংস্রতা) ছিল রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, কিন্তু এখন যে কোনো বিষয় নিয়েই মব সৃষ্টি হচ্ছে, এবং সরকারের পক্ষ থেকে তা নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
তিনি সমাপনীতে উল্লেখ করেন, "বর্তমানে গনতন্ত্র বলতে যা বোঝায়, সেটি এখন মবতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। যা দেশের জন্য উদ্বেগজনক ও চিন্তার বিষয়।"
এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে পরিবর্তনের জন্য এখনো দূরদর্শী ও ফলপ্রসূ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি, যা সাধারণ মানুষের জীবনে সত্যিকার অর্থে উন্নতি নিয়ে আসবে।
Jahan