
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারে ছবি সম্পাদনার জটিল কাজ এখন সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এতদিন যে কাজ করতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতো, এআইয়ের সাহায্যে এখন তা এক ক্লিকে সম্ভব। ছবি থেকে মুখমণ্ডল, আকাশ বা অন্যান্য বস্তুকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার সক্ষমতা নিয়ে এই প্রযুক্তি অ্যাডোবি ফটোশপের মতো জটিল ডিজিটাল টুলের ব্যবহারকেও সহজ করেছে। ছবি সম্পাদনাকে সহজ করেছে এমন ৫টি শক্তিশালী এআই-চালিত টুল নিচে তুলে ধরা হলো।
অ্যাডোবি ফটোশপ
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ছবি সম্পাদনার টুল অ্যাডোবি ফটোশপেও এখন বিল্ট-ইন এআই-চালিত ফিচার রয়েছে। ফায়ারফ্লাই মডেল দিয়ে পরিচালিত এই সফটওয়্যারে রয়েছে ‘রিমুভ টুল’, যা দিয়ে মাত্র এক ক্লিকে ছবির অবাঞ্ছিত অংশ মুছে ফেলা যায়।
এ ছাড়া কার্ভেচার পেন টুল, ম্যাচ ফন্ট, স্কাই রিপ্লেসমেন্ট, অবজেক্ট সিলেকশন, রিফাইন এজ ও প্রিজার্ভ ডিটেইলস ২.০-এর মতো ফিচার ছবির মান দ্রুত উন্নত করতে সহায়ক। এআই ব্যবহার করে ছবির আকার বাড়াতে ‘জেনারেটিভ ফিল’ ফিচার ব্যবহার করা যায়।
ক্যানভা
ছবি সম্পাদনার জন্য ক্যানভা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। ক্যানভার এআই ফটো এডিটরে রয়েছে ম্যাজিক এডিট, ম্যাজিক ইরেজার, এআই ফ্রেম এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিনারের মতো ফিচার। কিছু ফিচার বিনামূল্যে ব্যবহার করা গেলেও, অধিকাংশ সুবিধা পেতে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়।
পিক্সলার
আরেকটি জনপ্রিয় ছবি সম্পাদনার অ্যাপ পিক্সলারেও রয়েছে জেনারেটিভ এআই ফিচার। এটি নতুন ব্যবহারকারী ও পেশাদার উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপ হিসেবে অথবা মোবাইল ডিভাইস থেকে সরাসরি এটি ব্যবহার করা যায়। এর উল্লেখযোগ্য এআই ফিচারের মধ্যে রয়েছে জেনারেটিভ ফিল, জেনারেটিভ এক্সপ্যান্ড ও এআই ফেস সোয়াপ।
ইমেজেন
পেশাদারদের জন্য তৈরি ‘ইমেজেন’ একটি এআই-চালিত ছবি সম্পাদনার টুল। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর সম্পাদনার অভ্যাস অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এতে ‘ট্যালেন্ট এআই প্রোফাইলস’ নামে একটি নতুন ফিচার রয়েছে, যা খ্যাতনামা ফটোগ্রাফারদের তৈরি করা প্রিসেট। এই প্রিসেট দিয়ে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ছবি পরিবর্তন করতে পারেন। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে রয়েছে ক্রপ, স্ট্রেইটেন, সাবজেক্ট এবং স্মুদ স্কিন।
প্যানেল