
ছবি: সংগৃহীত
৪ জুলাই, ২০২৪। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলনের মুখে সেদিনও উত্তাল ছিল শাহবাগ।
শিক্ষার্থীদের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে।
কিন্তু শুনানি না হওয়ার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে ক্ষোভ আরও বাড়ে। তিনি বলেন, “আন্দোলন দেখে সুপ্রিম কোর্ট রায় পাল্টায় না।”
এ মন্তব্যের পর শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা শাহবাগ মোড় দখলে নিয়ে টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা অবরোধে থাকেন। বৃষ্টির তোয়াক্কা না করেই হাজারো শিক্ষার্থী স্লোগান তোলেন—“বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, এই রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।”
শাহবাগ জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
তবে আন্দোলন দমাতে সেদিনও সক্রিয় ছিল সরকারি ছাত্র সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনে বাধা দেয়, পুলিশও মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “সেদিন ছাত্রলীগের ক্যান্ডিডেটরা আমাকে হল থেকে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু এক হাজারের বেশি সাধারণ শিক্ষার্থী হলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। শেষে ছাত্রলীগ নেতারা পিছু হটে, আমাকে হলে ফিরিয়ে নেয়।”
সেদিনই শিক্ষার্থীরা চার দফা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন—
১. অনলাইন ও অফলাইন মতবিনিময় সভা
২. দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল
৩. ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন
৪. ধারাবাহিক আন্দোলন অব্যাহত রাখা
এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “হলের গেট বন্ধ থাকলেও অনেক শিক্ষার্থী সাহস করে বের হয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের দৃঢ়তায় আন্দোলন এগিয়ে যায়।”
আবির