
ছবি: সংগৃহীত
যমুনায় পানি বাড়ছে। সেই সাথে নদীপাড়ে ভাঙন তাণ্ডব দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর উজান থেকে আসা পানিতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙন তাণ্ডবে সদর উপজেলার বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচঠাকুরিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জমি-জিরাতসহ বেশিরভাগ বাড়িঘর যমুনায় বিলীন হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত নদীপাড়ের মানুষ অসহায়, তারা নদী ভাঙন রোধে কার্যকরি ব্যবস্থা চায়। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সরেজমিনে জানা গেছে, যমুনা পাড়ের নদী শাসন কাজের কিছু অরক্ষিত এলাকায় চলতি বছরে শুস্ক মৌসুম থেকেই ভাঙন দেখা দেয়। আবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত ও পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। পানির স্রোত আঘাত হানছে পশ্চিম পাড়ে। ফলে নদীর পশ্চিম পাড়ে দেখা দিয়েছে এই ভাঙন।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচঠাকুরিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয় এলাকার ফসলি জমি, বাড়িঘর। এখন নদীর স্রোত আঘাত হানছে পশ্চিম পাড়ে নদীর পুরাতন তীর রক্ষা বাঁধে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন এলাকায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাঙন কবলিত ভাটপিয়ারী এলাকায় বেশ কয়েকজনের সাথে নদী ভাঙন নিয়ে কথা হয়। তারা জানান, ইতোমধ্যে অনেকের বাড়িঘর অন্যত্র সরাতে হয়েছে। ফসলি জমি, বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়েছে। এই ভাঙন অব্যহত থাকলে আগষ্ট-সেপ্টেম্বরের ভরা বর্ষায় হুমকির মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচঠাকুরিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ভাঙন কবলিত ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয় আসলাম উদ্দিনের অভিযোগ, সময়মতো নদীপাড়ের ভাঙন পরিস্থিতি মনিটরিং এবং নতুন ও পুরাতন বাঁধ এলাকা পরিদর্শন না করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব করায় পুরো ভাটপিয়ারী এলাকা এখন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বিভাগ জানে যে যমুনা পাড়ের ভাটপিয়ারী এলাকা অরক্ষিত। এখানে নদী শাসনের কাজ হয়নি। তারপরেও পানি উন্নয়ন বিভাগ আগে থেকে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন এ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে এলাকাবাসী। তবে তা মানতে নারাজ পানি উন্নয়ন বিভাগ। তাদের মতে, এটা কোনো চিন্তার বিষয় না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, ‘ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সার্বিক দিক নজরদারিতে রেখেছি। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
বাবু ইসলাম/রাকিব