
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে জাহেদ উর রহমান বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে—এটি এখন অনেকটাই স্পষ্ট। এমনকি তাদের বিরোধীরাও এটা জানে।”
তিনি দাবি করেন, বিএনপি ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজনৈতিক সংস্কারে সম্মতি জানিয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা নির্ধারণ, সংবিধানের বিতর্কিত আর্টিকেল ৭০-এর সংস্কার এবং বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা।
তার ভাষায়, “বাংলাদেশে বড় কোনো দল যখন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী রাখবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিংবা জুডিশিয়ারির শতভাগ সেপারেশন মেনে নেয়—তখন সেটাকে শুধু রাজনৈতিক চাল নয়, বড় সংস্কারের ইঙ্গিত বলেই ধরতে হবে।”
জাহেদ উর রহমান প্রশ্ন তোলেন, “একটি দল সংস্কারের পথে হাঁটছে, সেটি প্রশংসার দাবিদার। অথচ আমরা দেখছি তারা কী মানছে না, সেটাই বেশি আলোচিত হচ্ছে। কেন একটি দলকে সবকিছু মানতেই হবে, এই বাধ্যবাধকতা কেবল বিএনপির ক্ষেত্রেই কেন?”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় এখন প্রয়োজন সমালোচনার পাশাপাশি স্বীকৃতিও দেওয়া। “কোনো দল সংস্কার না মানার স্বাধীনতাও রাখতে পারে”—এই কথাটিও তিনি জোর দিয়ে তুলে ধরেন।
Mily