
রাজনীতিতে বিরোধী মত প্রকাশ এবং ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশকে গণতন্ত্রের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন বিশ্লেষক ও টকশো আলোচক জাহেদ উর রহমান। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “মন্ত্রী হলে জুতা মারা স্লোগান খুব স্বাভাবিক এবং সিম্বোলিক”।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নানা ধরনের প্রতীকী ভাষা ব্যবহার হয়। এমনকি অনেক সময় রাষ্ট্রপতিকে প্রকাশ্যে চড় মারার ঘটনাও ঘটেছে। তার ভাষায়, "যারা ক্ষমতায় যাবে, তাদের চামড়া মোটা করতে হবে।"
বহুল আলোচিত "অমুকের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে" স্লোগানকে তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতির দীর্ঘদিনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “মানুষকে ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। এসব প্রতীকী প্রতিবাদ হলে কোনো সমস্যা নেই, বরং এতে মানুষ শান্ত হয়ে ওঠে—যা গণতন্ত্রের জন্যই মঙ্গলজনক।”
তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে জনগণের প্রতিবাদী মনোভাবের স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন এটি রাজনৈতিক সহিংসতা বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা।
তবে জাহেদ উর রহমানের যুক্তি স্পষ্ট—গণতন্ত্র মানেই ভিন্নমতের সহাবস্থান এবং মানুষের ক্ষোভ প্রকাশের স্পেস থাকা। সেই স্পেসেই কখনো কখনো প্রতীকী স্লোগান বা প্রতিবাদ আসবে, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশে স্বাভাবিক।
Jahan