ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

ভোলায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবদল-শ্রমিক দলের দুই নেতা গ্রেফতার

হাসিব রহমান, ভোলা

প্রকাশিত: ২২:১৭, ৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২২:২২, ৩ জুলাই ২০২৫

ভোলায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবদল-শ্রমিক দলের দুই নেতা গ্রেফতার

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান দুই আসামি যুবদল নেতা মো. আলাউদ্দিন ও উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে পুলিশ অবশেষে গ্রেফতার করেছে। এদিকে তজুমদ্দিনে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলাউদ্দিনকে বুধবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে নৌপথে থানায় আনা হচ্ছে। একই রাতে ফরিদ উদ্দিনকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে আটক করা হয়।”

এর আগে র‍্যাব সদস্যরা বুধবার দুপুরে মামলার ৫ নম্বর আসামি মানিককে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ পর্যন্ত মামলার সাত আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার রাতে তৃতীয় স্ত্রীর বাড়িতে স্বামীকে ডেকে আনা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে রাতের বেলা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন ও যুবদল কর্মী মো. আলাউদ্দিনসহ ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা মিলে ছয়-সাতজনের একটি সন্ত্রাসী দল ঘরে ঢুকে স্বামীকে মারধর করে। তৃতীয় স্ত্রী সংসার করবেন না উল্লেখ করে তারা পাঁচ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন। পরদিন বড় স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে গেলে মারধরের পর স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী সোমবার তজুমদ্দিন থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে তজুমদ্দিনে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে চাঁদাবাজ ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তজুমদ্দিন উত্তর বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল গেটে সমবেত হয়।

বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উপজেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তজুমদ্দিন উপজেলা সভাপতি মুফতি মাওলানা আবু জাফর, তজুমদ্দিন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাস্টার মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তারা কামারপট্টিতে সংঘটিত নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

মিমিয়া

×