
ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত চুলকানি একটি অস্বস্তিকর ও বিরক্তিকর অবস্থা, যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে—যেমন অ্যালার্জি, শুষ্ক ত্বক, চর্মরোগ বা অভ্যন্তরীণ কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা। তবে সচেতনতা ও কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত চুলকানি থেকে বাঁচতে যে ৭টি পরামর্শ দিয়েছেন—
১. ঠান্ডা সেঁক ব্যবহার করুন
চুলকানির জায়গায় ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় চেপে ধরা বা বরফ মোড়ানো তোয়ালে ব্যবহার করলে ত্বক ঠান্ডা হয় এবং চুলকানির তীব্রতা কমে।
২. ত্বক আর্দ্র রাখুন
শুষ্ক ত্বক চুলকানির অন্যতম প্রধান কারণ। তাই প্রতিদিন গোসলের পর গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা বা কোল্ড ক্রিম জাতীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ত্বক সজীব রাখা প্রয়োজন।
৩. অ্যালার্জি এড়িয়ে চলুন
চুলকানির কারণ যদি অ্যালার্জি হয়, তবে সেটি চিহ্নিত করে এড়িয়ে চলাই সর্বোত্তম। খাদ্য, সাবান, প্রসাধনী বা কাপড় থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
৪. হালকা সাবান ব্যবহার করুন
অনেক সাবানে থাকা রাসায়নিক বা সুগন্ধি উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই অ্যালার্জেনমুক্ত বা শিশুদের জন্য তৈরি হালকা সাবান ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৫. ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন
গরম পানি ত্বককে শুষ্ক করে তোলে, যা চুলকানির মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই কুসুম বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা উত্তম।
৬. হাত দিয়ে চুলকানো বন্ধ করুন
চুলকাতে ইচ্ছা হলেও ঘন ঘন হাত দিয়ে ঘষাঘষি করলে ত্বকে ক্ষত বা ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ধৈর্য ধরে চুলকানো থেকে বিরত থাকা জরুরি।
৭. প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন
যদি চুলকানি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, কিংবা ত্বকে র্যাশ, ফোলা বা তীব্র জ্বালা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ একজিমা, সোরিয়াসিস, ছত্রাক সংক্রমণ কিংবা অভ্যন্তরীণ কিছু রোগও এই উপসর্গের পেছনে থাকতে পারে।
মিরাজ খান