
ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর ভক্তরা এখনও শোকাহত। মাত্র ৪২ বছর বয়সে ২৭ জুন রাতে আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেত্রী। ২৭ তারিখ রাতে হঠাৎ করেই শেফালির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার সময় শেফালির স্বামী পরাগ ত্যাগী, মা এবং আরও কিছু সদস্য বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। শেফালি জারিওয়ালার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পূজা ঘাই সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানির এক সাক্ষাৎকারে শেফালির মৃত্যুর রাতে কী ঘটেছিল এবং তার স্বামী পরাগ ত্যাগী তার সঙ্গে কী করেছিলেন তা প্রকাশ করেছেন।
সেই রাতের কথা স্মরণ করে পূজা বলেন, 'পরিবার এবং পরাগের কাছ থেকে আমি যা জেনেছি সেদিন সত্যনারায়ণ পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।পরের দিন যখন শেফালিকে শেষকৃত্যের জন্য বাড়িতে আনা হয়েছিল, তখন আমি দেখলাম যে পুরো বাড়িটি পূজার জন্য সাজানো ছিল এবং তাদের বাড়িতে একটি সুন্দর পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।'
পূজা আরও জানিয়েছে যে শেফালি যথারীতি রাতের খাবার খেয়েছিল এবং পরাগকে কুকুরটিকে হাঁটাতেও বলেছিল এবং সে নীচে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ডাকা হয়। বাড়ির সাহায্যকারী পরাগকে ফোন করে বলে, 'দিদির শরীর ভাল নেই। আপনি কি উপরে আসতে পারবেন?'
পরাগ বলল, যে এরপর যা ঘটেছিল তা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সে লিফটের নিচে অপেক্ষা করছিল, হেল্পার নেমে এল, সে কুকুরটিকে তাঁর কাছে দিয়েই দৌড়ে উপরে গেল এবং গিয়ে দেখল যে তার নাড়ি এখনও স্পন্দিত হচ্ছে কিন্তু তার চোখ খুলছে না এবং শরীরও কাজ করছে না। তাই সে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পেরেছিল যে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে এবং তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই শেফালি মারা যান।
বেলভিউ মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৭ জুন রাত ১১.১৫ মিনিটে চিকিৎসকরা শেফালিকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর,প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর আসল কারণ প্রকাশ পেয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়া এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর।
খবরে আরও বলা হয়েছে, সারাদিন উপবাসের পর, রাতে যখন শেফালি খেতে যান, তখনই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। জানা গিয়েছে,শেফালি সেই রাতেও অ্যান্টি-এজিং ইনজেকশনও নিয়েছিলেন। ডাক্তারের পরামর্শে শেফালিকে বহু বছর আগে এই ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল এবং তারপর থেকে তিনি প্রতি মাসে এই চিকিৎসা নিয়ে আসছেন।
শহীদ