
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যখন আরও তীব্রতর হচ্ছে, ঠিক এমন সময় কিয়েভে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, “অন্যান্য দেশগুলোকে সামরিক সহায়তা এবং সমর্থনের নীতি পর্যালোচনার পর আমেরিকার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনকে বহু বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মকর্তা সতর্ক করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র মজুত ক্রমেই কমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার বিষয়ে এখনো ইউক্রেন সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
হোয়াইট হাউস স্পষ্ট না করলেও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের আওতায় আকাশ প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ও নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্রের চালান বন্ধ করা হতে পারে।
বিবিসি-র মার্কিন পার্টনার সিবিএস নিউজ সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মজুত বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য কৌশলগতভাবে বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ বর্তমানে দেশটি রাশিয়ার জোরালো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে রয়েছে।
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মিমিয়া