ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

পরিবারে বিরোধের জেরে প্রাণ দিল চারজন, তদন্তে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩২, ৩ জুলাই ২০২৫

পরিবারে বিরোধের জেরে প্রাণ দিল চারজন, তদন্তে পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত

রাজস্থানের বারমেরে এক মর্মান্তিক ঘটনায় একই পরিবারের চারজন সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন ৩৫ বছর বয়সী শিবলাল মেঘওয়াল, তার স্ত্রী কবিতা (৩২) এবং তাদের দুই ছেলে বজরং (৯) ও রামদেব (৮)।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। পরদিন ভোরে স্থানীয় একটি পানির ট্যাংক থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যা তাদের বাড়ি থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে।

ঘটনার পূর্বে কবিতা তার ছোট ছেলে রামদেবকে মেয়েদের মতো সাজিয়ে দেন। তিনি ছেলেকে মেয়েদের জামাকাপড় পরান, চোখে কাজল দেন, মাথায় ওড়না রাখেন এবং নিজের স্বর্ণালঙ্কার পরিয়ে দেন। এরপর পরিবারের চারজনই ওই পানির ট্যাংকে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিবলাল নিজ হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন, যার তারিখ ২৯ জুন। এতে তিনজনকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন হলেন তার ছোট ভাই। সুইসাইড নোটে পারিবারিক জমি ও বসবাস নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুইসাইড নোটে শিবলাল অনুরোধ করেছেন যাতে তাদের শেষকৃত্য তাদের বাড়ির সামনেই সম্পন্ন করা হয়।

কবিতার চাচা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, শিবলাল প্রধানমন্ত্রীর ঘর নির্মাণ প্রকল্প (PMAY) থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে আলাদা বাড়ি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার মা ও ছোট ভাই বাধা দেন। তাদের অব্যাহত হেনস্তার ফলেই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ঘটনার সময় শিবলালের মা ছিলেন বারমেরে ছেলের বাড়িতে এবং বাবা ছিলেন এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায়, শিবলাল ও কবিতা তাদের ফোন বন্ধ করে এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

 ঘটনার খবর না পেয়ে শিবলালের ছোট ভাই তাকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। উত্তর না পেয়ে তিনি এক প্রতিবেশীকে পাঠান, যিনি কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, এবং আত্মহত্যার পেছনের দায়ীদের খুঁজে বের করতে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

শহীদ

×