ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

৬টি সস্তা খাবারেই কমবে ইউরিক অ্যাসিড! আজ থেকেই শুরু করুন

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ৩ জুলাই ২০২৫

৬টি সস্তা খাবারেই কমবে ইউরিক অ্যাসিড! আজ থেকেই শুরু করুন

ছবি: সংগৃহীত

শরীরে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনই, শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমে গেলে তৈরি হতে পারে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ওষুধ রয়েছে, তবে দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ পরিবর্তন এনেও প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড কমানো সম্ভব।

ইউরিক অ্যাসিডের ভূমিকা কী?

শরীরে পিউরিন নামক এক প্রাকৃতিক যৌগ ভাঙতে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। পিউরিন কিছু খাবারে পাওয়া যায়, আবার শরীরও এটি তৈরি ও ভাঙন প্রক্রিয়া চালায়। সাধারণত, কিডনি ইউরিক অ্যাসিড ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিন্তু পিউরিন বেশি খেলে বা কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমে নানা সমস্যা তৈরি হয়।

নিচে এমনই ৬টি সহজ অভ্যাস দেওয়া হলো, যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর।

 

১. প্রতিদিন এক কাপ কফি পান করুন

শুধু জাগিয়ে তোলাই নয়, নিয়মিত কফি পান ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও সহায়ক। কফির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে ও কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত চিনি বা ক্রীম ব্যবহার না করে পরিমিত মাত্রায় কফি পান করাই ভালো।

২. শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন

ইনসুলিনের মাত্রা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরে ইনসুলিন বেড়ে গেলে ইউরিক অ্যাসিড জমার প্রবণতা বাড়ে। তাই পরিমিত শর্করা, আঁশযুক্ত খাবার, শাকসবজি ও লিন প্রোটিনে ভরপুর সুষম খাবার খান। এছাড়া শর্করা ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে নিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৩. পিউরিনসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন

পিউরিন বেশি থাকলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। তাই পিউরিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন—অর্গান মিট, লাল মাংস, সামুদ্রিক মাছ ও শামুকজাতীয় খাবার কমিয়ে দিন। তার বদলে শাকসবজি, ফল ও সম্পূর্ণ শস্যভিত্তিক খাবার বেছে নিন। তবে প্রোটিন পুরোপুরি বাদ দেবেন না—ডাল, বাদাম বা অন্যান্য উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হতে পারে ভালো বিকল্প।

৪. খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখুন

ভিটামিন সি কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে। লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল নিয়মিত খান। চাইলে সকালে এক গ্লাস লেবু পানি বা কমলার রস খেতে পারেন, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। প্রয়োজনে ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।

৫. দৈনন্দিন শরীরচর্চা করুন

ব্যায়ামবিহীন জীবনশৈলী ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার বড় কারণ। প্রতিদিন হালকা হাঁটাহাঁটি বা সহজ ব্যায়াম করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত হবে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন, এতে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দীর্ঘমেয়াদে উপকার মিলবে।

৬. প্রতিদিন আমলকির রস পান করুন

আমলকি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর। নিয়মিত আমলকির রস পান করলে ইউরিক অ্যাসিড কমে, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজমশক্তি বাড়ে। তাজা আমলকি ব্লেন্ড করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে সামান্য মধু দিয়ে রস তৈরি করুন এবং প্রতিদিন পান করুন।

আবির

×