ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

অনুমান নির্ভর বিদুৎ বিলের অভিযোগে গোপালপুরে গ্রামবাসীর ক্ষোভ!

নিজস্ব সংবাদদাতা, মধুপুর-ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ৩ জুলাই ২০২৫

অনুমান নির্ভর বিদুৎ বিলের অভিযোগে গোপালপুরে গ্রামবাসীর ক্ষোভ!

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

ভুতুড়ে বিদুৎ বিলের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদুৎ সমিতি-১-এর গোপালপুর জোনাল শাখার গ্রাহকেরা। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী সোনামুই ও নারায়ণপুর গ্রামের অন্তত ৪০ জন গ্রাহক অভিযোগ করেন, তাঁদের মিটারে  দেখানো ইউনিটের চেয়ে ৫০ থেকে ২০০ ইউনিট বেশি বিল করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মিটার না দেখে অনুমান নির্ভর বিল  তৈরি করা হচ্ছে। ফলে তারা অতিরিক্ত বিল দিতে বাধ্য হচ্ছেন, এমনকি দেরি হলে গুনতে হচ্ছে জরিমানাও।

জানা গেছে, ১ থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারে প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ২৬ পয়সা এবং ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারে প্রতি ইউনিট ৭ টাকা ২০ পয়সা হারে বিল করা হয়। এতে করে অনেক গ্রাহকই অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন।

নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাওফিক আহমেদ বলেন, ‘জুনের ৮ তারিখে রিডিং লেখা হয়েছে ৬৬৩০ ইউনিট, অথচ ৩০ জুন মিটারে আছে ৬৫৭৫ ইউনিট। অফিসকে বললে বলে, “পরের মাসে সমন্বয় হবে।” কিন্তু পরে আর কোনো সমন্বয় করে না।’

সোনামুই গ্রামের বিধবা রহিমা বেগম বলেন, ‘আজ মিটারে দেখাচ্ছে ১১০৫ ইউনিট, কিন্তু ৮ তারিখে রিডিং লেখা হয়েছে ১২৬৫ ইউনিট। এভাবে অতিরিক্ত বিল দিয়ে আমি কিভাবে চলব? স্বামী-সন্তান নাই, সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

সোনামুই মধ্যপাড়া জামে মসজিদের কমিটির সদস্য বিপ্লব খান বলেন, ‘আজ পর্যন্ত মিটারে ১৬৮৬ ইউনিট খরচ হয়েছে, অথচ ২০ দিন আগে বিল করা হয়েছে ১৭২০ ইউনিট। এর প্রতিবাদে আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি।’

এ বিষয়ে গোপালপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘রিডিং  লেখার সময় ভুল হতে পারে। কতজন গ্রাহকের এমন ভূল হয়েছে তার কোন তথ্য নেই। অভিযোগ পেলে আমরা ঠিক করে দিচ্ছি। গত ৯ দিনে ১২ থেকে ১৪টি বিল সংশোধন করা হয়েছে। ৭৫ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে লোকবল সীমিত, তাই ত্রুটি কিছুটা হতেই পারে।’ তবে মিটার না দেখে রিডিং করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা রিডিং দেখতে ফিল্ডে লোক পাঠাই।

ফারুক

×