
ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাস টিকার সঙ্গে হঠাৎ মৃত্যুর কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (ICMR)।
সম্প্রতি কর্ণাটকের হাসান জেলায় হৃদ্রোগজনিত কারণে অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ বক্তব্য দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ICMR, AIIMS, এবং NCDC কর্তৃক পরিচালিত গবেষণায় বিগত বছরের সঙ্গে মৃত্যুর ধরণে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পাওয়া যায়নি। গবেষণায় বরং হঠাৎ মৃত্যুর পেছনে জীবনযাত্রা, বংশগত বৈশিষ্ট্য এবং পূর্বের রোগ গুলোকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ICMR-এর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি (NIE) এক বিস্তৃত গবেষণা চালিয়েছে ‘ভারতের ১৮-৪৫ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের অজানা হঠাৎ মৃত্যুর কারণসমূহ’ শিরোনামে। ২০২৩ সালের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত ওই গবেষণায় ৫০টি হাসপাতালের ৮০০টি হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. মনোজ মুরেহকার বলেন, "আমরা যেসব কেস পর্যালোচনা করেছি, তাতে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের সঙ্গে হঠাৎ মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।"
ড. মুরেহকার আরও জানান, AIIMS বর্তমানে ‘Establishing the cause in sudden unexplained deaths in young’ শীর্ষক একটি পৃথক গবেষণা চালাচ্ছে। সেখানে ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, "হৃদ্রোগ এখনো হঠাৎ মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। কোভিড টিকাকে দোষারোপ করাটা যথাযথ নয়।"
তাঁর মতে, যেসব ব্যক্তি আগে গুরুতর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। তাছাড়া, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, হঠাৎ অ্যালকোহল সেবন, এবং মাদকদ্রব্য গ্রহণ — এসব কারণও হঠাৎ মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে পারে।
শহীদ