
দৈনিক জনকণ্ঠ
একটু স্বস্তির জন্য যেন ছুটে চলা। নির্মল বাতাসে নিজেকে তোলা। বেঞ্চিতে বসে নদীকে অবলোকন করা। আবার একটু ওয়াকিং জোনে পায়চারি। এমন প্রত্যাশা নিয়েই পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের শত শত মানুষ প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলেন আন্ধারমানিক নদীর তীরে।
হ্যালিপ্যাড মাঠটিতে থাকছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ভিড়। আর ঈদকে ঘিরে যেন লোকারণ্য থাকছে নদীতীরসহ গোটা মাঠটি। রোববার বিকেল থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে শহরবাসীর একটি বৃহৎ অংশ মাঠটিতে ভিড় করেন। কিছুটা সময় কাটান স্বস্তির পরশ নিয়ে।
এখন জায়গাটিতে গিয়ে সবাই বেশি স্বস্তিবোধ করছেন। কারণ কলাপাড়া পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও রবিউল ইসলাম ওয়াকিং জোনের সড়কে মোটরবাইকসহ কোন ধরনের যানবাহন প্রবেশে প্রািতবন্ধকতা স্থাপন করে দিয়েছেন। ফলে জায়গাটিতে সময় কাটানোয় আরও নিরাপদ মনে করছেন আগতরা।
বিশেষ করে ছোট্ট সোনামণিদের কাছে এই নদী তীরের জায়গাটি খুব পছন্দের। তারা ছোট্ট ছোট্ট পায়ে বাবা-মায়ের হাত ধারে হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আবার একাই দৌড়ে কিছুটা পথ ছুটছে। শহরবাসীর স্বস্তির নিশ্বাস তোলার জন্য ক্রমশ আন্ধারমানিক নদী তীরের এই হেলিপ্যাড মাঠটি তাদের পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা কলাবাড়াবাসীর সভাপতি নাজমুস সাকিব জানান, শহরবাসীর একটু বিনোদন, নির্মল বাতাসে স্বস্তির পরশ খুঁজে পেতে আন্ধারমানিক নদী তীরের এই জায়গাটি ছাড়া আর কোন স্পট নেই। তাই সবাই একটু প্রকৃতির পরশ পেতে এখানটায় ছুটে আসেন।
হ্যাপী