
ছবি:সংগৃহীত
দীর্ঘ আন্দোলনের পথ পেরিয়ে ক্ষমতা বদলের পরও এখনও প্রধানমন্ত্রী কে হবেন—এই প্রশ্নে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এ অবস্থায় ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে প্রকাশ্যে আসছেন আওয়ামী লীগের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ওবায়দুল কাদের। যদিও শেখ হাসিনা এখনও কোনো গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি, তবে ওবায়দুল কাদের নিয়মিত গণমাধ্যমে হাজির হয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করছেন।
সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করা হয়, শেখ হাসিনা শত শত খুনের মামলা মাথায় নিয়ে কবে দেশে ফিরবেন? কবে হবে তার বিচার? সেই প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। তিনি প্রতিদিন দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।”
তিনি আরও জানান, ঈদের দিন বিকেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। “আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ আছেন,” বলেন কাদের। তিনি আরও যোগ করেন, “আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছে, ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। তবে দেশ ও দলের প্রতি আমার আস্থা অটুট।”
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগেও তিনি বলেছেন, দেশের জন্য তিনি ফিরবেন। যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের শাস্তি হবে। তবে কবে ফিরবেন, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। সব কিছু নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনগণের মনোভাব এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের ওপর।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচন ঘোষণার মধ্যেই নির্বাচন না করার এক ধরনের ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে।”
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। “দেশের ৪৫ শতাংশের বেশি মানুষ আওয়ামী লীগের সমর্থক। এত বড় জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে কোনো নির্বাচন সম্ভবই নয়,” বলেন তিনি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভিত্তি ও আদর্শ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে স্বীকার করে কাদের বলেন, “সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। আমরা দল গোছাচ্ছি। আওয়ামী লীগ একটি গণভিত্তিক দল, আমাদের শক্তির মূল উৎস জনগণ।”
ছামিয়া