
ছবিঃ সংগৃহীত
ঈদের দিন কপালে একটুখানি খাবার জুটবে কি না—সেই নিশ্চয়তা নেই। জানা নেই, কী খেয়ে ঈদ পার করবে গাজার হাজারো পরিবার। তাইতো ধুলাবালির মধ্যে পড়ে থাকা কিছু আটা কুড়োতে দেখা গেছে এক বাবা-মেয়েকে। যদি সেই আটা দিয়ে অন্তত দুই-চারটা রুটি হয়, এই আশাতেই দিন পার করছেন তারা।
এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক বিবেক। শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। কিন্তু তাতে কি কিছু আসে যায়? গাজার বাস্তবতা বদলায়নি এতটুকুও।
শুধু এটিই নয়—ঈদের দিনও অভুক্ত থাকতে হয়েছে গাজার হাজার হাজার শিশুকে। আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না খাবার নিয়ে এসেছিল মাত্র একটি গাড়ি। সেই গাড়ির পাশে ছোট ছোট শিশুদের দেখা যায় চলন্ত গাড়ির নিচে পড়ে থাকা খাবার কুড়োতে। ক্ষুধার্ত হাতে মুঠ করে তুলে নিচ্ছিলো সেসব খাদ্যদ্রব্য।
এই করুণ দৃশ্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় গাজায় কতটা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছে। তবুও সেখানকার সাধারণ মানুষের জন্য কোনো মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের ইশারাতেই এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির পরও থামছে না ইসরাইলি হামলা। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা—পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে গাজায় হাজার হাজার শিশু অনাহারে মারা যেতে পারে।
এই মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো হস্তক্ষেপ চেয়েছে বহু দাতব্য সংস্থা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—এই আহ্বানে কেউ সাড়া দেবে তো?
ইমরান