
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আজহায় গরুর গোশত খাওয়ার চল সবচেয়ে বেশি। তবে অনেকে আছেন যারা গোশত খাওয়ার পরপরই অস্বস্তি, চুলকানি, ত্বকে ফুসকুড়ি বা পেটে সমস্যা অনুভব করেন। এটি সাধারণত "মিট অ্যালার্জি" বা মাংসে অ্যালার্জির একটি লক্ষণ। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে গরুর গোশত খেলে সহজেই এ ধরনের অ্যালার্জি এড়ানো সম্ভব।
কেন হয় গোশতের অ্যালার্জি?
গরুর গোশতে থাকা কিছু প্রোটিন ও ফ্যাট উপাদান শরীরের ইমিউন সিস্টেমে অতিপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এ কারণে চুলকানি, হাঁচি, ত্বকে র্যাশ, চোখে পানি বা পেটে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই অ্যালার্জির ইতিহাস রয়েছে, তাদের জন্য বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে।
এলার্জি এড়াতে যা করবেন:
১. পরিমাণে কম খান
প্রথমবার বা দীর্ঘদিন পর গোশত খেলে অল্প পরিমাণে শুরু করুন। বেশি খেলে অ্যালার্জির সম্ভাবনা বাড়ে।
২. ভালভাবে সিদ্ধ করুন
গোশত যেন ঠিকভাবে সিদ্ধ হয়, তা নিশ্চিত করুন। আধসেদ্ধ বা গ্রিলড অবস্থায় খেলে এলার্জির ঝুঁকি বাড়ে।
৩. চর্বি বাদ দিন
চর্বিযুক্ত অংশে এলার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান বেশি থাকে। তাই গরুর চর্বি এড়িয়ে চলা ভালো।
৪. মসলা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অনেক সময় অ্যালার্জি শুধু গোশত থেকে নয়, অতিরিক্ত মসলা থেকেও হতে পারে। ঝাল-মসলাযুক্ত রান্না কমিয়ে হালকা রান্না করা শ্রেয়।
৫. ফ্রিজের গোশত সাবধানে ব্যবহার করুন
অনেক সময় সংরক্ষিত বা পুরনো গোশতেও ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে যা অ্যালার্জি বা পেটের সমস্যা তৈরি করে। ভালোভাবে রান্না করে নিন এবং সংরক্ষণের সময়ও সতর্ক থাকুন।
৬. পানি বেশি খান
গোশত খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি পান শরীরে টক্সিন কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে।
৭. অ্যালার্জি প্রতিরোধী ওষুধ হাতের কাছে রাখুন
যাদের অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, তারা অ্যান্টিহিস্টামিন বা অ্যালার্জি প্রতিরোধী ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে প্রস্তুত রাখুন।
গোশত খাওয়ার আনন্দ যেন অসুস্থতায় পরিণত না হয়, সে জন্য সচেতন থাকা জরুরি। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্না ও পরিমিত আহারই পারে ঈদের আনন্দকে আরও নিরাপদ ও উপভোগ্য করতে।
ফারুক