ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের দিন হাত পা কেটে হাসপাতলে অর্ধশতাধিক ’একদিনের কসাই’

মঈন নাসের খাঁন (রাফি), কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুমিল্লা

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ৭ জুন ২০২৫

ঈদের দিন হাত পা কেটে হাসপাতলে অর্ধশতাধিক ’একদিনের কসাই’

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

কোরবানির দিন গরু ছাগল কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়ে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এছাড়া দুপুরে একটা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহত চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতরা বেশিরভাগই যুবক এবং একদিনের কসাই।  শখের বশে কোরবানির গরু ছাগল কাটতে গিয়ে বেশির ভাগের আহত হয়েছেন। এছাড়াও পেশাদার কসাইরাও আছেন আহতদের তালিকায়। 

আহতরা বলছেন, মাংস কাটাকাটিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় কাটতে হয়েছে হাত পা।  যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর যেতে হচ্ছে কুমিল্লা মেডিলকেল কলেজ হাসপাতালে। 

কুমিল্লা সদর উপজেলার ধনপুর ইমরান আহমেদ আহমেদ বলেন, ঈদের খুশিতে বাড়ির সবাই মিলে কোরবানি দেই। তারপর মাংস কাটার সময় পিছলে আমার আঙুলে লাগে। প্রথমে টের পাইনি, পরে দেখি রক্ত ঝরছে। হাসপাতালে আসার পর তিনটি সেলাই দিয়েছে। 

সদর উপজেলার ভুবনঘর এলাকার চল্লিশোর্ধ্ব কাশেম তালুকদার গরুর হাড় কাটতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতের কব্জিতে। তিনি বলেন, আল্লাহ বাঁচিয়েছে- আরেকটু জোরে লাগলে আমার হাতের কব্জি হয়তো আলাদা হয়ে যেত। জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

টিক্কার চর এলাকা থেকে আসা মো. রাসেল বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়া মাংস কাটতে গেলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ মাংস কাটাকাটির সময় ছুরি বা চাপাতি পিছলে যায়। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে না আসাই ভালো।

ঝাউতলা থেকে আসা পেশাদার কসাই জাহঙ্গীর আলম বলেন, হাড্ডি কোপাতে গিয়ে আমার পায়ে চাপাতি লেগেছে। সদর হাসপাতালে রাখেনি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে। 

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ জোবায়ের বলেন, শখের বসে মাংসও কাটাকুটি করতে গিয়ে অনেকের অঙ্গহানি হবার মত ঘটনাও ঘটেছে।  তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া কিংবা পেশাদার কসাই ব্যতীত কোরবানির পশু কাটাকুটিতে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়।

ফারুক

×