ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সর্বশক্তি নিয়ে নেমেছে কাসাম ব্রিগেড, গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের মৃত্যুর মিছিল!

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৯:০১, ৭ জুন ২০২৫

সর্বশক্তি নিয়ে নেমেছে কাসাম ব্রিগেড, গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের মৃত্যুর মিছিল!

ছবিঃ সংগৃহীত

ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠেছে গাজার ইসলামী প্রতিরোধ দল। বিশ্বনেতাদের চুপ করে থাকা, যুদ্ধবিরতির আলোচনার মতো প্রহসনের আর অপেক্ষা করছে না হামাস। গাজায় আসা ইসরাইলি সেনাদের একের পর এক হামলায় টার্গেট করছে দলটির সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড। সর্বশেষ অভিযানে আরও চার ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। গেল কয়েক দিনে ইসরাইলি সেনাদের মৃত্যুর এই ধারাবাহিকতা আতঙ্কে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসনকে।

এরই মধ্যে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইলের প্রতি। কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র ঘোষণা দিয়েছেন—“গাজার প্রতিটি জায়গায় এখন ইসরাইলি সেনাদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু।”

সম্প্রতি গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে ‘অপারেশন গিডিয়ন’স চ্যারিয়ট’ নামের এক সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতেই এই অভিযান। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন যুদ্ধবিরতির নামে কাগুজে আলোচনায় ব্যস্ত, তখন ইসরাইল শুরু করেছে একতরফা আক্রমণ।

কিন্তু প্রতিরোধ গোষ্ঠী এবার মুখ বুজে নেই। বরং সরাসরি প্রতিরোধে নেমে আসছে তারা। শুক্রবার গাজার খান ইউনিস ও জাবালিয়ায় কাসাম ব্রিগেডের হামলায় নিহত হয় চার ইসরাইলি সেনা। আহত হয় আরও অনেক।

ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযানে অংশ নেয় ইসরাইলের অভিজাত মাগলান কমান্ডো ইউনিট এবং ইয়াহালম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। গাজার একটি ভবনে প্রবেশ করতেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পেতে রাখা ফাঁদে পড়ে সেনারা। সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধসে পড়ে ভবনটি, আর বেরিয়ে আসার কোনো সুযোগই পায়নি সেনারা।

কিছুদিন আগেও ট্যাংকসহ আরও কয়েকটি ইসরাইলি ইউনিট প্রতিরোধের ফাঁদে পড়ে ধ্বংস হয়। ওই ঘটনার পরই প্রকাশ্যে আসে কাসাম ব্রিগেড। এক ভিডিও বার্তায় মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, “এটা কেবল শুরু। গাজায় আসা সব সেনার পরিণতি এমনই হবে।”

তিনি আরও জানান, প্রতিরোধ যোদ্ধারা নেতানিয়াহুর সব অভিযান ব্যর্থ করতে প্রস্তুত। কাসাম ব্রিগেডের বার্তা, “ইসরাইলি আগ্রাসন একে একে চূর্ণ করে দেওয়া হবে।” এমনকি সাধারণ ইসরাইলিদের উদ্দেশেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়—“নেতানিয়াহুকে থামাতে না পারলে, তাদের ছেলেরা কফিনে করেই ফিরবে গাজা থেকে।”

গাজায় ইসরাইলি সেনাদের মৃত্যুর এই ধারাবাহিকতায় টালমাটাল হয়ে উঠেছে নেতানিয়াহুর সরকার। যদিও অভিযানের আগে সর্বাধুনিক ড্রোন, প্রশিক্ষিত কুকুরসহ নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পেতে রাখা বিস্ফোরক শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় ইসরাইলি বাহিনী।

ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, নেতানিয়াহু যতই ঘোষণা দেন না কেন—গাজার ইসলামী প্রতিরোধ গোষ্ঠী শক্তি হারায়নি। বরং তাদের সুসংগঠিত সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক ও গেরিলা কৌশলে এখনও অটল তারা।

সূত্রঃ https://youtu.be/gKIRHhD2ceU?si=UB3Ma6nTrEmV4_-b

ইমরান

×