ইলন মাস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান দ্বন্দ্ব এবার গড়াল ব্যক্তিগত সম্পত্তির দিকে! এবার সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে একেবারে লাল রঙের একটি টেসলা গাড়ি। বহু আলোচিত এই বৈদ্যুতিক গাড়িটিই কি তবে বিক্রি করে দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প? এই প্রশ্নে সরগরম এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল শুক্রবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে দাবি করে, ট্রাম্প তার টেসলা বিক্রির পরিকল্পনা করছেন। এর আগে শুক্রবার সকালেই হোয়াইট হাউজের সামনে পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায় সেই আলোচিত লাল টেসলাটি।
সাংবাদিকরা এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘‘এ নিয়ে তেমন কিছুই ভাবিনি এখনো।’’ তবে কণ্ঠে ছিল ইলন মাস্কের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি ‘‘আমি তার (মাস্কের) মঙ্গলই চাই।’’
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে টেসলার বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন বিতর্ক এবং কোম্পানির শেয়ার দর পতনের সময় বন্ধু মাস্কের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সমর্থনের প্রতীক হিসেবে একটি লাল রঙের টেসলা গাড়িও কিনেছিলেন তিনি। তবে মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থান ও নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আহ্বানে ট্রাম্পের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
সাম্প্রতিক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে ইলন মাস্ক লিখেছিলেন, ‘‘নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় হয়েছে।’’, যেখানে তার প্রায় ২০০ মিলিয়ন ফলোয়ারের মধ্যে ৮০ শতাংশই সাড়া দেন। এমনকি প্রস্তাব আসে ‘আমেরিকা পার্টি’ নামেও একটি রাজনৈতিক দল গঠনের।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, টেসলার প্রতি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সংযুক্তি কি শেষ হচ্ছে? বন্ধু ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন কি তাকে টেসলার গাড়ি বিক্রিতে বাধ্য করতে যাচ্ছে?
এদিকে ট্রাম্প-মাস্কের এই দ্বন্দ্বকে ঘিরে মুখ খুলেছে রাশিয়াও। রুশ আইনপ্রণেতা দিমিত্রি নভিকভ মন্তব্য করেছেন, ‘‘ইলন মাস্ক চাইলে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতেও প্রস্তুত রাশিয়া।’’ যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনও স্পষ্ট অবস্থান জানায়নি ক্রেমলিন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব এখন আর কেবল রাজনৈতিক সীমায় সীমাবদ্ধ নেই, বরং ছড়িয়ে পড়েছে ব্যবসা ও ব্যক্তিজীবনের প্রতিটি কোণায়। লাল টেসলা গাড়িটি শেষপর্যন্ত ট্রাম্প রাখবেন কি না, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়!
মিমিয়া
