
ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে, এটিকে 'বর্ণবাদী ও শ্রেষ্ঠত্ববাদী মানসিকতার' প্রতিফলন বলে অভিহিত করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা ইরানসহ ১২টি প্রধানত মুসলিম ও আফ্রিকান দেশের নাগরিকদের উপর প্রযোজ্য। ইরানি কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপকে মুসলিমদের প্রতি গভীর শত্রুতার প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।
এই নিষেধাজ্ঞা ২০২৫ সালের ৯ জুন থেকে কার্যকর হবে এবং আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের উপর প্রযোজ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে 'বিদেশি সন্ত্রাসীদের' হুমকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একটি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞাকে বৈষম্যমূলক এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন, যা শুধুমাত্র ধর্ম ও জাতীয়তার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে। তিনি আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গভীর শত্রুতার প্রতিফলন এবং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।
এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে ধর্মীয় ও জাতিগত বৈষম্যের প্রশ্ন তুলেছে।
Jahan